যুগের নারায়ণগঞ্জঃ বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও মামলার ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানা থেকে বদলিকৃত সেই বিতর্কিত এসআই সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী ভুক্তভোগীদের রোষানলে পরেছে। অবশেষে ভুক্তভোগী ও জনতার রোষাণাল থেকে বাঁচতে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে থানা ভবনে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। ১২ জানুয়ারী রবিবার রাত ৯ টার দিকে থানার সামনে স্থানীয় চায়ের দোকানে এ ঘটনা কি ঘটে বলে প্রত্যক্ষ দশিরা জানায়। জনতার রোসানলে পরে দারোগা সাইফুল পাটোয়ার তার এই গ্রেপ্তার বাণিজ্যের পেছনে আওয়ামীলীগ সরকার দলীয় কয়েকজন ছাত্র নেতা সহ আওয়ামী লীগের দালাল বিশেষ পেশার ব্যাক্তি এবং কারা কারা জড়িত সেই গোমর ফাঁস করে দিলেন । এ ব্যাপারে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানায়, বিগত আমলি সরকারের আমলের শেষের প্রায় দুই বছরে দারোগা সাইফুল পাটোয়ারী গ্রেফতার বাণিজ্য,, নীরিহ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি সহ নানা পন্থায় কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।দারোগা সাইফুল নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বন্দরকে নরকে পরিণত করেছি। ওসি আবু বক্কর যোগদানের পর থেকে দারোগা সাইফুল বেপরোয়া হয়ে উঠে। ওসি আবু বকরের মদদে দারোগা সাইফুল কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সহ সাংবাদিক নামে কিছু দালালদের নিয়ে গড়ে তুলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সর্ব পেশার লোকেরাই সাইফুল পাটোয়ারীর সিন্ডিকেটের কাছে ছিল অসহায়। পাঁচই আগস্ট ছাত্র বিপ্লবের আন্দোলনের পর নতুনভাবে দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন পর পাটোয়ারীকে বদলি করা হয় লালমনিরহাট। নারায়ণগঞ্জ আদালতে ১৩ই জানুয়ারি মামলার একটি সাক্ষী ছিল পাটোয়ারীর। এর আগ দিন ১২ই জানুয়ারি তিনি বন্দর থানায় আসেন। এ সময় সংবাদ পেযে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগ ও তার হাতে হয়রানি শিকার ব্যক্তিরা জড়ো হয় থানার সামনে। ভুক্তভোগের কাছ থেকে বিভিন্ন পন্থায় নেওয়া টাকা তারা ফেরত চায় সাইফুল পাটোয়ারীর কাছে। এ সময় তিনব নানা তালবাহানা সহ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে চাইলে জনতার রোষানলে পরে দৌড়ে থানার ভিতরে অবস্থান নেয়। বিষয়টি বন্দর থানার ওসি কে ভুক্তভোগীরা জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে ভুক্তভোগীদের জানায়।