যুগের নারায়ণগঞ্জঃ শীতলক্ষা নদীতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও ৬মাস পর হত্যা মামলা দায়েরর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। বিবাদীর স্বজনদের অভিযোগ মিথ্যা মামলা দায়ের করে টাকা বা জমি লিখে দিলে মামলা তুলে নিবে বলে বাদি ও তা স্বজনরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে । এমনই এক ঘটনার সন্ধান মিলেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে , ২৪ অক্টোবর একরামপুর ইসপাহানী এলাকার বাসিন্ধা
দুই বন্ধু জহিরুল ও রাকিব বালুবাহি ব্লাকহেড থেকে শীতলক্ষা নদীতে গোসর করতে ঝাপ দেয়। একবন্ধু রাকিব পাড়ে উঠে আসলেও আরেক বন্ধু জহির পানির স্রোতে ডুবে যায়। পানিতে নিখোঁজের পরদিন নারায়ণগঞ্জের ডুবুরি দল নিহত জহিরুল কে উদ্বার করেন। এ ঘটনায় বন্দর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ্য করেন যে, লাশের শরিলসহ কোথাও জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি সবকিছু স্বাভাবিক ছিলো। কিন্ত মৃত্যুর ৬মাস পর নিহতের স্ত্রী সোহাগি গত ২৫ অক্টোবর বাদি হয়ে রাকিব, রনি, মামুন সহ ৬জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা নাম্বার ৩৩। মামলাতে পুঁজি করে আসামীদের স্বজনদের কাছে টাকা ও জমি লেখে দিলে মামলা উঠিয়ে নিবেন বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বাদী ও তার স্বজনরা।
ঘঠনাস্হলে স্হানীয় নৌকা মাঝিরা জানান নিহত জহিরুল নৌপথে বালুবাহী ব্লাকহেডে চাঁদাবাজি করতেন তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছেন। ঘটনার দিন সে একটি বালুর বোট থেকে চাঁদা নিয়ে সে সহ ২জন ঝাঁপ দেয় কিন্ত একজন সাঁতরে পাড়ে আসলে নিহত জহিরুল পানিতে ডুবে মারা যায়।
মামলা টি নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ বর্তমানে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে,নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ ফাড়ির ইনচার্জ জানান, ঘটনা তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।