মোঃ জাহিদ হোসেনঃ একটি খাবার হোটেল; নাম তার ভাবির মোড়ের মেরিনা ভাবির হোটেল।হোটেল করার বয়স হয়তো ৫-৬ বছর হবে কিন্তু তারও ২০বছর পূর্বে নির্মিত হয় এই ঘরটি।ঘরটিতে লোকজনের সংকুলান না হওয়ায় ও ঘরটির বেশ কিছু স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হলে হোটেল মালিক নজরুল ঘরটি ভেঙ্গে পুনরায় প্রশস্ত করে গত ১৫ই জুন পূর্ণ নির্মাণ শুরু করেন।এটিই তার কাল হয়ে যায়। ১৫ই জুন থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি অথবা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও ১৯জুন (সোমবার)ইউএনও ঘটনা স্থলে এসে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ণনির্মাণকৃত ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন।সেদিন আমার কোন কথাই তারা শোনেননি।সংবাদকর্মীদের কাছে পেয়ে এমনিভাবে অভিযোগ করলেন হোটেল মালিক নজরুল।এসময় সেখানে সমবেত হন অসংখ্য প্রতিবাদী মানুষ।তারা জানালেন,নজরুল ও তার স্ত্রীর সাথে অন্যায় করেছেন ইউএনও।আমরা এর ক্ষতিপূরণ চাই।
আরো কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত নজরুল ও তার স্ত্রীর সাথে।তারা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন,এই হোটেল ঘরটি দিয়ে আমাদের সংসার চলে।এক মেয়ের বিয়েও দিয়েছি।বাকি এক ছেলে এক মেয়ে পড়াশোনা করছে।এই ঘটনায় আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।আমাদের রুটি- রুজির পথ বন্ধ হয়ে গেল। আমরা এখন কোথায় হোটেল করব?কিভাবে চলব। মুঠো ফোনে কথা হয় অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবুর সাথে।তিনি জানান, আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করছি।পাশাপাশি কেউ আইন অমান্য করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তবে সে ওখানে ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর পুনঃনির্মাণ করছে এটা আমার জানা ছিল না। আরো কথা হয় অত্র ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেনের সাথে।তিনি জানান, তাকে কোন নোটিশ করা হয়নি।আমি তাকে বলেছিলাম যেহেতু রাস্তার ধারের ওয়ালটি হেলে পড়েছে তাই হেলে পড়া ওয়ালটি ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে নতুন করে ওয়াল নির্মাণ করতে।
বিষয়টি নিয়ে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুখোমুখি হলে তিনি বলেন,আমার কাছে খবর আছে সেখানে তারা নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করছিল।প্রাথমিক পর্যায়ে ইউপি সদস্য নিষেধ করেন।এর পরেও তারা কাজ বন্ধ করেননি।পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তিনিও কাজ বন্ধ রাখতে বলেন,তবুও তারা শোনেননি।পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে নির্মানরত ঘরটি ভেঙ্গে দেই।সেখানে যেই নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করবে তাদেরই আমরা বাধা দিব।এখানে তারা নোটিশের কথা বলছে!এরূপ পরিস্থিতিতে নোটিশের প্রয়োজন হয় না।আমাদের জনপ্রিতিনিধিরা স্পটে গিয়ে তাকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন।ওখানকার বেশিরভাগ জায়গায় খাস।কই তারা তো কেউ এখনো আমাদের কাছে আবেদন করেনি লিজের জন্য?তারা আবেদন করুক,এরপরে বিষয়গুলির সুরাহা করা হবে।