1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রনে বিএনপির কতৃত্ব!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আষ্টেপৃষ্টে রয়েছে বহিরাগত ব্যক্তিরা। জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন এসব বহিরাগত ব্যক্তিরা। বহিরাগত ব্যক্তিরা স্থানীয় নেতৃত্বকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাইনাস করে বহিরাগত লোকজনকে  নারায়ণগঞ্জের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করার মিশনে নেমেছেন। ফলে কর্মীশূণ্য ও স্থানীয়দের মাঝে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে বহাল থাকায় নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা বামপন্থী দলগুলোর মত হতে শুরু করেছে। সেজন্য নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে বাঁচাতে হলে বহিরাগত ওয়ান ম্যান শো কর্মীশূণ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে স্থানীয় জনপ্রিয় ব্যক্তিদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব বহিরাগত দুই ব্যক্তির হাতে বন্ধি। তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ও লোকবল না থাকলেও শীর্ষ পদে আসীন হয়েছেন। তাদের প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করেছেন আবার আরেক বহিরাগত ব্যক্তি, তিনি হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব যিনি মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর কোনো বংশগত গোষ্ঠির অস্তিত্ব নেই নারায়ণগঞ্জে। অন্যের উপর ভর করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব পেয়েছেন। সাখাওয়াত মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা ও টিপু চাঁদপর মতলবের বাসিন্দা। এখনো দুজন ধর্মীয় উৎসব পালন করে নিজ নিজ পৈত্রিক ঠিকানায়। দুজনেই লেখাপড়ার সুবাধে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে ঢুকে যান।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা। কলেজ জীবনে তার পিতার সরকারি চাকুরীর সুবাধে নারায়ণগঞ্জে এক সময় বসবাস করেছিলেন। অপর যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার হুমায়ুন কবির নরসিংদীর বাসিন্দা। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল চাঁদপুরের বাসিন্দা। কিন্তু তারা নিজেদের পৈত্রিক ভিটার পরিচয় গোপন করে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বলে পরিচয় দেন।

ওদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন এখন মামুন মাহামুদ। তিনি বরিশালের বাসিন্দা। কলেজ জীবনে লেখাপড়ার সুবাধে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। কিন্তু এত্ত বছরেও তিনি তার বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। যে কারনে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও তাকে সেই এলাকার অনেকেই চিনেনও না। একইভাবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব চাঁদপুর মতলবের বাসিন্দা। কলেজ জীবনে বিএনপির ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন রাজীব। নগরীর মিশনপাড়ায় বসবাস করলেও নিজেকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা দাবি করলেও সেখানে তাদের বাড়ির কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেকেই জানিয়েছেন সেখানে তার পরিবার জমি কিনেছেন মাত্র।

এ ছাড়াও জেলা বিএনপির আওতাধীন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক বারী ভুঁইয়া দুজনেই নারায়ণগঞ্জের বাহিরের জেলা থেকে পেশাগত কাজে নারায়ণগঞ্জে আসেন। যে কারনে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা একেবারেই নাজুক। এর মধ্যে বদমেজাজী বারী ভূঁইয়াকে নেতাকর্মীরা পাগলা বারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অনেক আগেই। টিটু নিজেই বারীকে পাগল আখ্যায়িত করেছিলেন। বহিরাগত হওয়ার কারনে এই দুজনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তাদের নেতৃত্বে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাজ করতে নারাজ। টিটুর আদিনিবাস নোয়াখালী ও বারী ভুঁইয়া কুমিল্লার বাসিন্দা।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট