
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বৃদ্ধ দাদাসহ আপন চাচা ও ফুফুদেরকে মারধর ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত যুবক জাবের হোসেন সৈকতসহ তার নেশাখোর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এমনকি, নির্যাতনের বিষয়ে মাদকাসক্ত ছেলের পরিবারকে জানানো হলে বিচারতো দূরের কথা উল্টো মাদকাসক্ত ছেলের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের স্বীকার শহিদুল্লা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকাসক্ত যুবক জাবের হোসেন সৈকতকে প্রদান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে অন্যান্য আসামিরা হলো-মাদকাসক্ত যুবক সৈকতের বাবা মহিউদ্দিন হোসেন বাবু, আয়শা আক্তার এবং মজিবুরসহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা।
অভিযোগে বায়োজ্যোষ্ট বৃদ্ধ শহিদুল্লা উল্লখ্য করেন, জাবের হেসেন সৈকত তার বড় ছেলের সন্তান এবং তার নাতি। তার নাতি সৈকত হচ্ছেন একজন মাদক ব্যসায়ী ও মাদকাসক্ত। প্রায় সময়েই ফতুল্লার মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত বাড়ীতে মাদকসেবী নাতি জাবের হোসেন সৈকত কিছু বহিরাগত লোকদের নিয়ে মাদকের আড্ডা বসাত। এমনকি, তার বাড়ীতে অবস্থান করে বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য বেচাকেনা ও সেবনসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিল। সৈকতের এমন অপরাধ কর্মকান্ডে বাধা দিলেই বাড়ীতে ভাংচুর করে মব সৃষ্টি করে থাকে। এ বিষয়ে মাদকাসক্ত যুবক সৈকতের পরিবারকে জানানো হলে, তারা শাসনতো দূরে থাক উল্টো ছেলের পক্ষ হয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে থাকেন বলেও বৃদ্ধ অভিযোগ করেন।
১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় মাদকাসক্ত যুবক জাবের হোসেন সৈকতসহ কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে তার বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং ভাড়াটিয়া রুমের ভিতরে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে ইয়াবা সেবনে মত্ত থাকে। তাদের এমন কর্মকান্ডে তিনি বাধা প্রদান করেন। এতে মাদকাসক্ত যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধ আপন দাদাকে মারধর করে এবং বাড়ী ভাংচুরসহ জানালা, দরজা, কাঁচের গ্লাস সহ আরো মালামাল ভাংচুর করার মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এসময় মাদকাসক্ত যুবক জাবের হোসেন সৈকতসহ তার সহযোগীরা ঘরের আলামারি ভেঙ্গে বিভিন্ন মালামাল সহ আমার ছোট মেয়ের স্বর্ণের চেইন নিয়া যায় বলেও অভিযোগে প্রকাশ পায়।
এক পর্য়ায়ে বৃদ্ধের ডাক-চিৎকারে ছোট ছেলে আশরাফ আলী, মেয়ে নাসরিন এনং সম্পাগণ এগিয়ে আসলে মাদকাসক্ত যুবক জাভের হোসেন সৈকতসহ তার সহযোগীরা তাদের উপরও হামলা চালিয়ে তার সন্তানদেরকেও গুরুতর জখম করে।
সৈকতের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তার ছেলে আশরাফ আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুললে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার বলেন, মাদকাসক্ত নাতি কতৃক বৃদ্ধ দাদা এবং আপন চাচাকে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মাদকাসক্ত যুবক জাবের হোসেন সৈকতসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উল্লেখিত ঠিকানার বাড়ীতে সৈকত স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না। একমাত্র মাদক সেবনের জন্যই নাকি বৃদ্ধ শহীদুল্লাহর বাড়ীতে অবস্থান নেন। মাদকাসক্ত যুবক সৈকতসহ অভিযুক্তদের দেখা মাত্রই পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। আমরা দ্রুত এ নির্মম নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্থসহ বৃদ্ধের পরিবারকে সকল ধরনের নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করেন।