
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
মা-বাব আকিদা দিয়ে নাম রেখেছিল মোহাম্মদ রাসেল। কিন্তু সে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বেড়াত প্রিন্স রাসেল নামে। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে চিনে থাকেন লম্পট রাসেল হিসেবে। আবার খুঁচরা মাদক ব্যবসায়ীরা চিনে থাকেন ইয়াবা ডন হিসেবে। তবে, মা-বাবা’র দেয়া নামটি সে সমাজে প্রতিষ্টিত না করতে পারলেও তার লুচ্চামির কারনে এলাকাবাসীর দেয়া লম্পট নামটি ঠিকি প্রতিষ্টিত পেয়েছ। সে সাথে ফতুল্লার কয়েকটি এলাকায় মাদকের সয়লাব বিস্তারে প্রিন্স রাসেল ওরফে লম্পট রাসেলের খেতাবও ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
সূত্রমতে, ফতুল্লার নবীনগর এলাকার বসিরউদ্দিনের ছেলে রাসেল ওরফে লম্পট রাসেল। ছোট বেলা থেকেই দূরন্ত এবং চতুর থাকায় পড়াশুনার গন্ডি তেমন একটা পাড় হতে পারেনি। সেই কিশোর বয়স থেকেই লম্পট রাসেল লুচ্চামি বদমাইশি করার কারনে অল্প বয়সেই পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিয়ে দেন। কিশোর বয়সে বিয়ে হলেও লাম্পট্যের লালসার ভূত তার মাথা থেকে সরানো যায়নি। একাধিক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে পরেন। এমনকি, এলাকার সাধারন মেয়েদের নানা ভাবে উত্যক্ত ও বিরক্ত করাটা তার নিত্য নৈমত্তিক বিষয় হয়ে দাড়ায়। এর মাঝেই আবার জড়িয়ে পরেন ইয়াবার পাইকারি ব্যবসার সাথে। ফতুল্লার মুসলিম-নগর, নয়া-বাজার, এতিমখানা, নবী-নগর, পূর্ব গোপাল-নগর, নরসিংপুর, প্রেম-রোড, হাবুইল্লার ব্রিজ, ঢালীপাড়া এলাকার বিভিন্ন খুঁচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করে থাকেন এই লম্পট রাসেল। প্রতিদিন উক্ত এলাকায় কয়েক হাজার পিচ ইয়াবা বিক্রি করে থাকেন এই কুখ্যাত লম্পট ও মাদক ব্যবসায়ী প্রিন্স রাসেল। এদিকে, লাম্পট্যের লালসা অন্যদিকে মাদকের কড়াল গ্রাসের ছোবলে এলাকায় সাধারন মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলেন লম্পট রাসেল। হুমকির মুখে পড়তে হয় যুব সমাজের উজ্জল ভবিষৎ।
এঅবস্থায় এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকা থেকে বিতারিত করেন লম্পট রাসেল ওরফে ইয়াবা রাসেলকে। তবুও থেমে নেই তার অসামাজিক কর্মকান্ড। এমনটাই অভিযোগ করেন নবীনগর এলাকার সাধারন বাসিন্দারা।
স্থানীয় এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, এই মাদক ব্যবসায়ী লম্পট রাসেল নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে ফেইসবুক লাইভ করে নবীনগরসহ এলাকার স্থানীয় স্বনামধন্য লোকজনদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোসহ সামাজিকভাবে হেও করে থাকেন। অথচ এ লম্পট রাসেল বিএনপির কোন রাজনীতির সাথে জড়িততো দূরের কথা সে একজন কর্মীও নয়। উল্টো প্রিন্স রাসেলের অপকর্ম সবটুকুই বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে করে আসছে। আর এর কারনে বিএনপির বদনামও হচ্ছে। তাই স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে এলাকাবাসী প্রিন্স রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ স্থানীয় যুব সমাজসহ এলাকাকে অসমাজিক কর্মকান্ড থেকো রক্ষার্থে মাদক ডিলার লম্পট রাসেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জানান, আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কেউ মৌখিক ও লিখিতভাবে কেউ জানায়নি। তবে, মাদকের ব্যাপারে আমরা বরাবরের মতই আমরা জিরো টলারেন্সে রয়েছি৷ আমাদের সুনিদিষ্ট তথ্য প্রদান করা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।