1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

ভিন্ন জেলাবাসীর দখলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
স্থানীয় নেতাদের হাতে নেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব। জেলা ও মহানগর বিএনপির দুজন আহ্বায়কই নারায়ণগঞ্জ জেলার বাহিরের বাসিন্দা। একই দশা জেলার অন্যতম থানা ফতুল্লা থানা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতারও। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আষ্টে পৃষ্টে রয়েছে বহিরাগতদের প্রভাব। যে কারনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি শক্তিশালী হওয়ার চেয়ে দিনকে দিন দূর্বল হয়ে পড়ছে। স্থানীয় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্থানীয় নেতৃত্ব খুঁজছেন। স্থানীয় নেতৃত্বের অভাবের কারনে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে বিগত ১৭ বছর বিএনপির রাজনীতেতে দেখা না গেলেও শুধুমাত্র স্থানীয় ব্যক্তি হওয়ার কারনে শিল্পপতি মাসদুজ্জামান মাসুদের পক্ষে ভীড় করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির আহ্বায়কের প্রভাব তেমন একটা দেখাতেও পারেনি জেলা বিএনপির শীর্ষ পদে বসে।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কিছু সুবিধাভোগী ধান্ধাবাজ শীর্ষ নেতাদের চাটুকারিতা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ভাগিয়ে নিয়েছে বহিরাগতরা। স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের চাটুকারিতা করেনি বিধায় তাদেরকে সরিয়ে বহিরাগত অযোগ্য জনপ্রিয়তাহীন আনাড়ি ধাচের ব্যক্তিদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারগুলোকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে।

নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহামুদ। তার পৈত্রিক ভিটা বরিশাল জেলায়। কলেজ জীবনে রাজনীতির মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিমের মাধ্যেমে সোনারগাঁও উইমেন্স কলেজের শিক্ষকতার চাকুরী পান। সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি বসবাস করলেও তিনি নেতাকর্মী শূণ্যতায় ভুগেন সব সময়। এর আগে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম রবি। তিনি ফেনীর বাসিন্দা। জেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বৃহত্তর চাঁদপুর মতলবের বাসিন্দা। নারায়ণগঞ্জে তার স্থানীয় ঠিকানা নাই। কেউ কেউ জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডে তিনি জমি কিনেছেন, তবে বাড়ি করতে পারেননি। বর্তমানে মহানগরীর মিশনপাড়ায় বসবাস করছেন তিনি।

ঢাকা থেকে আসা যাওয়া করে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর রাজনীতি করছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। বিগত বিএনপির জোট সরকার আমলে সরকারি তোলারাম কলেজে লেখাপড়ার সুবাধে ছাত্রদলের রাজনীতিতে আসেন রেজা রিপন। ওই সময় তার পিতা ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। বসবাস করতেন ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। এখন তিনি বসবাস করেন ঢাকায়। কিন্তু তিনি মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক!

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল। তিনিও বৃহত্তর কুমিল্লার চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে তিনিও বিএনপির রাজনীতিতে আসেন। তবে বর্তমানে তিনি মহানগরীর খানপুর এলাকায় বসবাস করেন। ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর সামান্য কর্মী থেকে বর্তমানে থানা বিএনপির সভাপতি তিনি। একইভাবে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভুঁইয়াও কুমিল্লার বাসিন্দা। ছাত্র জীবনে নগরী দেওভোগ ও বন্দরে জায়গির থাকতেন তিনি। ছাত্রনীতিতে বিএনপির সাবেক নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের মাধ্যমে আইন পেশায় আসেন বারী ভুঁইয়া। বর্তমানে ফতুল্লার কায়েমপুরে বাড়ি করলেও তিনি সেখানে নজরুল ইসলাম নামের একজনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে এলাকা থেকে বিতারিত হয়েছেন নানা অপকর্মের ফলে। বর্তমানে তিনি বসবাস করেন নতুন কোর্টের পেছনে ভাড়া বাসায়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জে তার স্থায়ী ঠিকানাও নেই। ২০১৬ সালের সিটি নির্বাচনে যে কারনে সাখাওয়াতের হোল্ডিং নাম্বার নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সাবেক মেয়র আইভী। বিএনপির সাবেক নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের জুনিয়রশীপ করার মাধ্যমে আইন পেশায় আসেন এবং পরবর্তীতে তৈমুরের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন সাখাওয়াত। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু মতলবের বাসিন্দা। তারই দশা সাখাওযাতের মতই। যদিও বর্তমানে তিনি মহানগরীর আমলপাড়া এলাকায় বসবাস করছেন। নাম-জসহীন এসব ব্যক্তিদের হাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট