যুগের নারায়ণগঞ্জঃ সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপরাধীদের ধরতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্টে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওসমান পরিবারের বড় ডেভিলরা।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মামলায় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে ওসমান পরিবারের আস্থাভাজন কিছু সংখ্যক অস্ত্রধারী ক্যাডাররা পালিয়ে গেলেও চলমান ডেভিল হান্টে এলাকায় প্রকাশ্যে রয়েছে ভুমিদস্যু চাঁন মিয়া ও জাপা নেত্রী পলি বেগম।
ইতোমধ্যে ডেভিল হান্টে স্থানীয় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রধান গ্রেপ্তার হলেও শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের সহযোগী ভুমিদস্যু চাঁন মিয়া ও নাসিক ১৯নং ওয়ার্ড জাপা নেত্রী পলি বেগম এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানকে ব্যবহার করে এলাকায় স¤্রাজ্য গড়ে তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি নামে-বেনামে তাঁরা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এলাকায় গড়েছেন অবৈধ সম্পাদের পাহাড়। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরেও কতিপয় বিএনপি নেতাদের অর্থের মাধ্যমে ম্যানেজ করে এলাকায় ঘুরছেন প্রকাশ্যে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নেতাকর্মীরাও গা ডাকা দেন। এর মধ্যে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টির কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরাও পালিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে রয়েছেন ভূমিদস্যু চাঁন মিয়া, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী শহিদ, যুবলীগ নেতা কাজী জহির, জাতীয় পার্টির নেতা গিয়াস উদ্দিন ভেন্ডার, বন্দর থানা জাতীয় যুব সংহতি সহ-সভাপতি সার জাহান, ১৯নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভানেত্রী পলি বেগম।
এদিকে ডেভিল হান্টে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হলেও প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষণকারি কাজী সোহাগ ও যুবলীগ নেতা দ্বীন ইসলামের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছে না পুলিশ। ফলে এলাকায় যেকোন সময়ে বড় ধরণের দুঘর্টনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। তবে চলমান অপারশেন ডেভিল হান্টে অস্ত্রধারীরা গ্রেপ্তার, তাদের প্রদর্শিত অস্ত্র উদ্ধার ও শামীম ওসমানের সহযোগী চাঁন মিয়া, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী শহিদ, যুবলীগ নেতা কাজী জহির, জাতীয় পার্টির নেতা গিয়াস উদ্দিন ভেন্ডার, শার জাহান ও সেলিম ওসমানের সহযোগী ১৯নং ওয়ার্ড সভানেত্রী পলি বেগমকে গ্রেপ্তারে দাবি জানান স্থানীয়রা।