1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন

‘রাস্তায় নাইমা দ্যাখো’ আওয়ামী লীগকে নুরের হুঁশিয়ারি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “তোমাদের নেতা-নেত্রীরা সীমান্ত দিয়া পালাইছে, আর তোমরা এখন লিফলেট বিলি করবা, হরতাল করবা? রাস্তায় নাইমা দ্যাখো!”

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনীতি নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন৷

‘অন্তর্বর্তী সরকার গত ছয়মাসে প্রত্যাশার অনেকাংশে পূরণ করে পারে নাই’— উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অভ্যুত্থান পরবর্তী স্থিতিশীল পরিস্থিতি আসতে সময়ের প্রয়োজন, সে সময় আমরা সরকারকে দিতে চাই৷ কিন্তু আমাদের জাতীয় ঐক্য যেন অব্যাহত থাকে৷ আমাদের দলমত ও রাজনীতির ভিন্নতা থাকবে কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ঠেকাতে যেন আমরা এক ও অভিন্ন অবস্থানে থেকে লড়াই করবো৷”

নুরুল হক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-ছাত্রী সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন৷ ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে পরিচিত পাওয়া এ ছাত্রনেতা পরে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন৷

জনগণের উদ্দেশ্যে ডাকসু’র সাবেক এ নেতা বলেন, “যারা আপনাদের সন্তানকে গুলি করে, হেলিকপ্টার থেকে বোমা মেরে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল, যারা বাংলাদেশকে দিল্লীর তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল, সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে রাস্তায় দেখলে প্রতিহত করবেন৷”

বক্তব্যের শুরুতে গত ষোলো বছরে গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি৷

নুর বলেন, “রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ধারাবাহিক লড়াইয়ের প্রেক্ষাপটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-যুবক-তরুণদের আপোসহীন লড়াই আমাদের বিজয় এনে দিয়েছে৷ এ বিজয়ের অংশীদার দেশের প্রত্যেকটি মানুষ৷ কাজেই সেই মানুষের কাছে সেই বিজয়ের স্বাদ পৌঁছে দিতে অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রয়োজন৷ পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে, পুরোনো ব্যবস্থা এ দেশ কার্যত আর চলবে না, তা এই জুলাই-গণভ্যুত্থান প্রমাণ করে দিয়েছে৷ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র নেতৃবৃন্দেরও পরিষ্কার ঘোষণা ছিল, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত৷”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের গত তিপ্পান্ন বছরের ইতিহাসে…আমরা দেখি, ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম দিয়ে আওয়ামী লীগ এদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল৷ মুক্তিযোদ্ধার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করিয়েছিল, গুম-খুনের একটা নৈরাজ্য করেছিল৷

“গণঅভ্যুত্থান আমাদের অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল৷ তরুণদের রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তন স্থায়ী করার জন্য আমাদের নতুন রাজনীতি, নতুন নেতৃত্ব ও নতুন সংস্কৃতির প্রয়োজন”, যোগ করেন তিনি৷

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, “গত ৩০ বছর সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতার পালাবদল দেখেছি কিন্তু জনআকাঙ্খা কখনই পূরণ হয় নাই৷ যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারাই দখলবাজি, চাঁদাবাজি, জনগণকে জিম্মি করা, উন্নয়নের নামে লুটপাট, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়করণ করতে দেখেছি৷”

অভ্যুত্থান পরবর্তী ‘নতুন রাজনীতি’ নিয়ে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, নতুনভাবে এদেশকে গড়ে তুলি, যেখানে নতুন ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না, শেখ হাসিনার মতো দানব-শাসক তৈরি হবে না৷ গণতন্ত্রের পক্ষে, মানুষের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে কাউকে লাশ হতে হবে না, দেশ ছাড়তে হবে না৷”

‘আওয়ামী ধারার পুরোনো রাজনীতি চলবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এদেশের মানুষ নতুন নেতৃত্বকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত৷ নতুন নেতৃত্বকে মানুষের কাছে যেতে হবে৷ ছাত্রলীগ, যুবলীগের মতো দখলবাজি, চাঁদাবাজি করলে মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে৷ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে বলবো, আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেন এবং সতর্ক হন৷”

‘মৌলিক পণ্যে’ শুল্ক বাড়িয়ে সরকার গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে বলেও মন্তব্য ছিল তার৷

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট