1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

শহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পোস্টারিং, ক্ষুব্দ সাধারণ শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান ও সরকারি দপ্তরের দেয়ালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ‘গডফাদার’ খ্যাত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়নের ছবি দেখা যায়।

নিষিদ্ধ এই ছাত্র সংগঠনের এই পোস্টারিং-এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা একত্রে শহরে বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন। তারা পোস্টারিং করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার মধ্যরাতে এসব পোস্টার সাঁটানো হয়। সরকারি তোলারাম কলেজ, জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের দেয়ালসহ কয়েকটি স্থানে এসব পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।

গত জুলাই-আগস্টে নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে শামীম ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন। শামীম ওসমানের নেতৃত্বে তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুসহ অনুসারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতার উপর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছেন। তাদের এই সশস্ত্র হামলার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জুলাই ডিআইটি এলাকায় নিজ বাসার ছাদে খেলার সময় ৬ বছর বয়সী রিয়া গোপও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওইদিন শামীম ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকাশ্যে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে আন্দোলনকারীদের দমাতে নির্বিচারে গুলি চালায়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্তও ছিল শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া।

আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালানো ব্যক্তিদের ছবি সম্বলিত ছাত্রলীগের পোস্টারিং নিয়ে ক্ষুব্দ সাধারণ শিক্ষার্থী ও নারায়ণগঞ্জের লোকজন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা ই রাব্বী চৌধুরী বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ রাতের আধারে পোস্টার টানানোর মাধ্যমে জানান দিচ্ছে এটা তারাই করবে, কারণ তারা রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে। এখন দিনে পালিয়ে থাকে রাতে উপস্থিত জানান দেয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন আরো সক্রিয় হলে ছাত্রলীগ ব্যাকফুটেই থাকবে। আগামী দিনে আমাদের নেতা তারেক রহমানের যে নির্দেশনা আসবে আমরা সেভাবেই রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি পালন করবে। ছাত্রলীগের জুলুম-নির্যাতন মানুষ কখনো ভুলবে না। তারা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করলে মানুষ রুখে দাঁড়াবে।’

ছাত্র শিবিরের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিন বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাতের আধারে শহরে পোস্টার টানানোর মাধ্যমে জানান দেয়া সুযোগ পেয়েছে প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে। আমি মনে করে, এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসন বিভিন্নস্থানে ঘাপটি মেরে আছে। তাদের চিহ্নিত করা দরকার। বিগত সময়ে আমরা বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি অথচ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এখন রাতের অন্ধকারে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা।’

ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পরেও ছয় মাস পাড়ি দিয়েও যখন হত্যাকারীদের বিচার হয় না তখন তারা এভাবেই নিজেদের ঔদ্ধত্যের জানান দেয়ার সুযোগ পায়।’

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট