1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন

আলোচনায় রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে সম্প্রতি বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। এদিকে, কমিটি বিলুপ্তি হওয়ার পর থেকে জেলা বিএনপির কমিটি কাদের নেতৃত্বে আসছে তা নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষন। তবে, দলের জন্য নিবেদিত প্রান এবং নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করেন এমন নেতৃত্বই চাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। বিগত সময় জেলা বিএনপির নেতৃত্ব যারাই ছিল তাদের মত স্বার্থন্বেষী নেতাদের বাদ দিয়ে দলের দুঃসময়ে যে সকল নেতৃবৃন্দ দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছিলেন তাদের সমন্বয়েই জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। তবে, এর ব্যতিক্রম ঘটলে এর প্রভাব আগামিতে দলের মধ্যে ব্যাপক নীতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে নতুন নেতৃত্ব নিয়েও আলাপ আলোচনা চলমান রয়েছে। নতুন পদ-পদবিতে কারা আসছেন কাদের কাঁধে দেয়া হচ্ছে নতুন দায়িত্ব তাদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে বেশ জোড়ালোভাবেই আলাপ আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুইটি পদ নিয়েই বেশি সরগরম পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আগামী দিনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও আলোচনায় রয়েছেন। জেলা বিএনপির একটি অংশ তাকেও সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান। সেই সাথে তার অনুসারীরাও এ নিয়ে বেশ উৎফুল্ল। যদিও এ ব্যপারে রিয়াদ চৌধুরীর কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই। তিনি দলের সিদ্ধান্তকেই বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলীয় সূত্র বলছে, গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে অনেকটা আচমকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সাথে অতিদ্রুত জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়। তবে কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়েছিলো সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, কমিটি ভাঙা গড়া চলমান একটি প্রক্রিয়া। দল যখন যে সিদ্ধান্ত নিবে বা দিবে সেটাই সর্বোত্তম। এর আগে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহবায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। আর এই দুইজনের নেতৃত্ব থাকা অবস্থায় জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই সম্ভাবনাময় নেতাদের নিয়েও নানাভাবে আলাপ আলোচনা চলমান রয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীও আলোচনায় রয়েছেন। নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সরব ভূমিকায় ছিলেন রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। দলীয় প্রায় প্রত্যেক কর্মসূচিতেই তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকেবেলা করেও একের পর এক কর্মসূচিতে সরবতা দেখিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদেরকেও ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের মধ্য দিয়ে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেন। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়েও নিজেকে জানান দিয়ে আসছেন। নানা আয়োজনের মধ্য দিযে জেলা পর্যায়েও তার বিস্তৃত ঘটে। তারই অংশ হিসেবে এবার তাকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে চাচ্ছেন তার অনুসারীরা। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে নিতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর জানেন। সকল বিষয়েই তিনি অবগত আছেন। আর ঢাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সেই হিসেবে কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হবে। যারা ত্যাগ স্বীকার করছেন বিভিন্ন সময়ের নির্যাতন নীপিড়নের শিকার হয়েও দলের দু:সময়ে নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি তাদেরকেই বাছাই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যোগ্য নেতৃত্ব অনেক আছে। তাদের মধ্যে থেকেই বাছাই করতে হবে। আমরা আশা করি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আস্থা অনুযায়ী যোগ্য নেতৃত্বকেই বাছাই করা হবে। সেই সাথে যিনি নেতৃত্বে আসবেন তিনি যেন ব্যক্তি কেন্দ্রিক না হয়ে দল কেন্দ্রিক হয়ে উঠবেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট