
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় এবার দুর্গাপূজাকে টার্গেট করে নাশকতার ছক এটেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক দীলিপ মন্ডল। এরই প্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ নেতা দীলিপ মন্ডলের নির্দেশে শুক্রবার মধ্যরাতে বহিরাগত ক্যাডারদের মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের উপর হামলা চালানো হয়।
হামলায় স্থানীয় যুবক সৈকত দাসসহ কয়েকজন যুবক গুরুতর আহত হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে ফতুল্লার হরিহরপাড়া শীষমহল এলাকায় অবস্থিত মন্দির প্রাঙ্গনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি, এ হামলার পর পরই এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠে।
একটা সময় পরিস্থিতি বেসামাল দেখে আপোষ মিমাংসা করার নামে নাটক মঞ্চস্থ করে দীলিপ মন্ডলসহ তার বাহিনীর সদস্যরা। বিচার সালিশী বৈঠকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের পক্ষে সাফাইসহ আহতদের চিকিৎসা ব্যায় স্থানীয় মন্দির কমিটি বহন করবে বলে জানানো হয়। এসময় এমন সিদ্ধান্তে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে অভিযোগ করে বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মধ্যপান অবস্থায় মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে এবং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় যুবকদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই করেন দীলিপ মন্ডল। এমনকি হামলায় আহত যুবকদের চিকিৎসার খরচ মন্দির কমিটি বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এমন সিদ্ধান্তে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন উঠেছে আসলে দীলিপ মন্ডল কাদের বাঁচাতে চাচ্ছে??
আর স্থানীয় যুবকরা হামলা আহত হওয়ার পরও এলাকাবাসীর ফান্ড থেকে কেন চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে আর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হল না? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মন্দিরের যে ফান্ড রয়েছে সে অর্থ কি দীলিপ মন্ডলের বাবার?? আর এতেই অনুমেয় করা যায় মন্দির প্রাঙ্গনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলাটি ছিল দীলিপ মন্ডলের পূর্ব পরিকল্পিত এমনটাই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এঅবস্থায় নারায়ণগঞ্জে বড় কোন ধরনের নাশকতা সৃষ্টির আগেই স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের এজেন্ড দীলিপ মন্ডলের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। এদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক রনি দাস আওয়ামীলীগ নেতা স্বেরাচারী দোসর দীলিপ মন্ডলের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দীলিপ মন্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং প্রকাশ্যেই সাংবাদিক রনিকে হত্যার হুমকি প্রদান করেন তিনি। দীলিপ মন্ডল ওরফে কালা কুত্তার প্রকাশ্যে এমন হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে বলে জানান সাংবাদিকদের রনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে স্বেরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রধানসহ সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দই পালিয়ে যায়। এর মধ্যে যারাই দেশে রয়েছে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিভিন্ন ধরনের ল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে আওয়ামী দোসররা। এমনকি হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে আড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে বেছে নেন। এছাড়াও, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন দীলিপ মন্ডল। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পায়তারা চালিয়ে আসছে।
আর এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার মধ্যরাতে মধ্যম অবস্থায় মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
ফতুল্লা মডে থনার ওসি শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যত স্বীকার করে বলেন, সংবাদে পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।