
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির বলেছেন, যারা অরাজকতা তৈরি করতে পারে এমন ব্যক্তিদের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী তাদেরকে তুলে আনা (গ্রেপ্তার) হচ্ছে। তাদেরকে অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত আটক রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, পাবলিক সিকিউরিটির বিষয়টি ন্যায্য। বিশেষ করে ওসমান হাদীর ঘটনার পর এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন চেষ্টা করছে, যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। আর যদি সৃষ্টি হয়, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়—সে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রশাসন ও পুলিশকে সার্বিকভাবে সহায়তা করেছেন। এ কারণে অন্য জেলার তুলনায় নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি ভালো আছে। এরপরও কিছু সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যৌথ বাহিনীর টহল, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন খুবই সচেতন। এসব বিষয়ে কাজ চলছে। কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা সাধারণ মানুষ দেখেছে।
এবার নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি করেন ডিসি। বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে এবং সেই পরিস্থিতির জন্য কোন প্রার্থী দায়ী হলে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করা হতে পারে। তাই প্রশাসন চায়, সার্বিকভাবে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে।’
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগরের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম সুজন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল আমিন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি দ্বীন ইসলাম, মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী ইলিয়াস আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মো. নাহিদ, মহানগরের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।