যুগের নারায়ণগঞ্জ:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নামে থাকা পূর্বাচল ও উত্তরার দুটি প্লট জব্দ এবং পরিবারের ১২ কোটি টাকার বেশি অর্থসহ ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ জুন) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপপরিচালক রেজাউল করিম আদালতে এ আবেদন দাখিল করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
আদেশে জব্দ ও অবরুদ্ধ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন— শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি, ছেলে ইমতিনান ওসমান, মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, এবং পুত্রবধূ ইরফানা আহমেদ রাশমী।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক থেকে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধান নিশ্চিত করতে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিধি-১৮ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা-১৪ অনুসারে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে শামীম ওসমানের নামে পূর্বাচল ও উত্তরার দুটি প্লট এবং অবরুদ্ধ ২৯টি ব্যাংক হিসাবের মোট টাকার পরিমাণ ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা। শামীম ওসমানের নামে থাকা দুইটি প্লটের মধ্যে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের পূর্বাচলের একটি প্লট এবং উত্তরা থানার ৯ কাঠা ১৩ ছঠাক ২২ বর্গফুটের দেড় কোটি টাকার বাড়ির জমি রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি দুদক শামীম ওসমান, তার স্ত্রী সালমা ওসমান ও শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুর নামে মামলা করে। মামলায় ২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শামীম ওসমান দেশ থেকে পালিয়ে যান। এরপর শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক মামলা হয়।