1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে না.গঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
যে কোন সময় বিলুপ্ত করা হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক কমিটি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমনটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৫-ই আগষ্ট স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির কতিপয় নেতাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং গত দুই বছরেও ইউনিট কমিটি গঠনে ব্যর্থসহ স্বেরাচারী নেতাদের সাথে আতাঁত রয়েছে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান এবং সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু’র বিরুদ্ধে। এছাড়াও, কয়েকদিন পূর্বে রূপগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হন ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন। সেখানে বাদল ভূঁইয়ার অনুসারীরাও ছিলেন। তাঁরা ছাত্রলীগের ওই নেতাকে বাদলের বাড়ির দিকে নিয়ে যেতে চান। ওই সময় সেখানে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জায়েদুল ইসলাম ওরফে বাবু। এ সময় সাব্বিরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে জায়েদুল ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বাদলের পক্ষের লোকজন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জায়েদুল অন্তত পাঁচটি গুলি ছোড়েন। এতে মামুন গুলিবিদ্ধ হন। পরে লোকজনের ধাওয়া খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান জায়েদুল। পরে মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। অভিযুক্ত জায়েদুলের চাচা মাহবুবুর রহমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। জায়েদুল নিজেও ছাত্রদল নেতা। চাচার প্রভাবে ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এলাকার ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের আশ্রয় দিয়ে তাঁদের সব অস্ত্র নিজের হাতে নিয়েছেন জায়েদুল। এলাকায় তিনি ‘বাবু বাহিনী’ গড়ে তোলে মাদক ও চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদিকে, উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জায়েদুল ইসলাম বাবুকে বহিষ্কার করেন এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান মাসুমকে কেন বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদল কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। অবশ্য, আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুব রহমান মাহবুব এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, মাঝিপাড়ার বাদল ভুইয়া গংদের সাথে অপরপক্ষ জাহিদুল ইসলাম গংদের অনুসারীদের একটি সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ী মামুন নিহত হয়। কিন্তু দলীয় গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত হামলাকারী জাহিদুল ইসলাম বাবুকে আমার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এমনকি আমাকে নানা অপকৌশলে ঘটনায় জড়িয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মিথ্যে অভিযোগ তোলার অপচেষ্টা করছে একটি মহল। আমি এর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হামলা ও গুলির ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। প্রকাশিত সংবাদটিতে আমাকে জড়িয়ে কাল্পনিকভাবে বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়। অথচ আমিও আমার পুরো পরিবার বিএনপির সাথে জড়িত। আমার প্রতিপক্ষরা নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে।

এদিকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছিুক, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের একাধিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান এবং সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু এ পদক ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পর পরই স্ব-স্ব এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করছে। তাদের অপকর্মের কারনে দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এমনকি, দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হলেও ইউনিট কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে রয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন নেতৃত্ব। দলকে সুসংগঠিত করতে হলে বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত করার মাধ্যমে ত্যাগীদের সমন্বয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটি গঠন করার দাবি উঠেছে সাধারন নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়নগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এই কমিটির অনুমোদন দেন।  এর আগে একই বছর ২৯ আগষ্ট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পদে মাহাবুব রহমান, সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন সালু ও রফিকুল ইসলাম রফিককে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র।  পরবর্তীতে, যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে মো. শাহ আলম ভূঁইয়া, মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া, মো. মনির হোসেন (সোনারগাঁও), ওমর ফারুক সানী, মো. মনির হোসেন (আড়াইহাজার), মো. ফারুক মিলন মোল্লা, মো. আবু দায়েন, আব্দুর জব্বার, মো. ইয়ার হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. নুর মোহাম্মদ, আব্দুর রহমান, নাজমুল হাসান বাবু, মো. রুবেল হোসাইনকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়। এছাড়াও, কমিটিতে সদস্য পদে মো. আল আমিন মৃধা, মো. শিপলু জাহান, মো. কামাল সাইদ, ইয়ানুছ আলী মিয়া, মো. তাইজুল ইসলাম সেলিম, মাহাবুবুর রহমান দানেশ, মো. মোমেন মিয়া, মো. শাহরিয়ার আয়নাল, আলমগীর হোসেন, মো. শাহরিয়ার ইসলাম আবিদ, মো. ওমর ফারুক, মো. শান্ত প্রধান, মো. খোরশেদ আলম, এস এম হিরু মিয়া, মো. ফয়সাল উদ্দিন রূপম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. রকিব হোসেন রিপন, মো. কাজী সোহেল, মো. হযরত আলী, মো. মনোয়ার হোসেন সেলিম, মো. নুর আহমেদ ভুইয়া সোহেল, মোহাম্মদ আলী বাবু, মো. কাজী মাজিদুল ইসলাম, মো. মামুন রানা, ডা. রুহুল আমিন মাসুদ, মো. মহসিন মিয়া, মো. রমজান মিয়া, মো. জামাল হোসেন, মো. ইমামুল হক, মো. বাদশা হাওলাদার, মো. আওলাদ হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী, মো. মনির মিয়া, মো. নাহিদ ভুইয়া। 

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট