1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জেলা তাঁতী দলের নেতার মায়ের মৃত্যুতে বাবু’র শোক ফ্যাসিষ্টের পতন ঘটিয়ে তারেক রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করেছেন-খোকন জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা: মাদক ও ছিনতাই নিয়ে উদ্বেগ মাদকের ভয়াল থাবা : পুত্র হত্যায় বাবা মা গ্রেপ্তার আলোর মুখ দেখেনি কিশোরী স্বপ্নার নির্মম হত্যার রহস্য স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যাকান্ড: আওয়ামী সন্ত্রাসী সুমনসহ ৭ জনের জামিন না মন্জুর মহাসমাবেশ সফল করতে মহানগর ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তুতি সভা মহাসমাবেশ সফল করতে ফতুল্লায় ইসলামী আন্দোলনের যৌথসভা জেলা তাঁতী দলের নেতার মায়ের মৃত্যুতে গিয়াসউদ্দিনের শোক সোনারগাঁয়ে গলাকেটে যুবককে হত্যা: আরও এক আসামি গ্রেফতার

মাদকের ভয়াল থাবা : পুত্র হত্যায় বাবা মা গ্রেপ্তার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকায় বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত যুবক জনি সরকারের বাবা ও মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) রাতে ফতুল্লার লালখা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহত জনির বাবা করুনা সরকার (৫৩) ও মা অনিতা রানী সরকার (৪৮)। তারা ফতুল্লার শিয়াচর লালখা এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় ড্রেনের ভেতর থেকে একটি বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, যা পরে জনি সরকারের বলে শনাক্ত করা হয়। ঘটনার পর নিহত জনির বাবা নিজেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তবে তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জনির বাবা-মা সরাসরি জড়িত। পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে বিস্তারিত বিবরণ দেন।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, নিহত জনি সরকার একজন মাদকাসক্ত এবং বখাটে প্রকৃতির যুবক ছিলেন। তিনি প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন, সোমবার রাতেও তিনি টাকার জন্য খারাপ ব্যবহার করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, জনির বাবা ঘুমন্ত ছেলেকে প্রথমে রুটি বানানোর কাঠের বেলুন দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে অচেতন করেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করেন।

পরে রাত আনুমানিক ২টার দিকে জনির হাত-পা বেঁধে একটি বস্তায় ভরে লাশ নিজেই মাথায় করে বাড়ির পাশে লালখা মোস্তফার গলির ড্রেনে ফেলে রেখে আসেন।

ওসি শরিফুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনির বাবা-মা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট