যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, “বিএনপি জনগণের কল্যাণের দল, রাষ্ট্রের কল্যাণের দল, একটি গণতান্ত্রিক দল—সেই জায়গা থেকে আমরা কাজ করছি।”
বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ১ থেকে ১০নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, “জনগণের যেসব সমস্যা রয়েছে, আমরা তা নিয়ে কথা বলছি। যেমন—ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা, নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের আবাসনের অভাব, প্রতিটি থানায় খেলাধুলার মাঠের অভাব, নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি এবং বুড়িগঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মাণ—এসবই জনগণের প্রয়োজন। আমরা সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এসব দাবি তুলে ধরছি, তবে দাবি জানিয়ে থেমে থাকব না, দাবি আদায় করেই ছাড়ব।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুখ-দুঃখে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে হবে। আমাদের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জের মানুষের কল্যাণে কাজ করা। এখনো যারা বিএনপির সদস্য হননি, অথচ ভালো মানুষ আছেন, তাদের দলে সম্পৃক্ত করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, মৌলিক অধিকার ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। সরকার তিনটি ভোটহীন নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার যেমন দরকার, তেমনি নির্বাচনও জরুরি। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির শ্রেষ্ঠ অভিভাবক। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের সাথেও যেন ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ. হালিম জুলেয়, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, ডি.এইচ. বাবুল, রওশন আলী, জি.এম. সাদরিল, সেলিম মাহমুদ, অ্যাডভোকেট মাসুদুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ডা. মাসুদ করিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—১নং ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন, ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী ও মোক্তার হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, ৪নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলী মুন্সি, ৫নং ওয়ার্ডের জিল্লুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডের মোস্তফা ও শরীফ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ডের জামান মির্জা, ৯নং ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন সিকদার ও শাহজাহানসহ আরও অনেকে।