যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বড় ভাই ছিলেন স্বেরাচারী দোষর আর ছোট ভাই যুবদল নেতা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পূর্ব মুহুর্তে নদীতে চাঁদাবাজি, ইটখোলা থেকে চাঁদা আদায় এবং ভূমিদস্যুতাসহ বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। অপরদিকে দলের দুঃসময়ে দলের জন্য তেমন অবদান না থাকলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পরই নিজেকে ফতুল্লা থানা যুবদলের বড় নেতা পরিচয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র ছোট ভাই। এলাকায় যুবদল নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্মের পাশাপাশি চাচাতো ভাইকে দিয়ে বিস্তর মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলার অভিযোগ উঠে আসছে ঐ যুবদল নেতা পরিচয় দেয়া ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। আর গুনধর এ দুই সহোদর হচ্ছে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা হাবু মিয়া এবং যুবদল নেতা রতন। এলাকাবাসী তাদের এমন কর্মকান্ডে ঠাট্টার ছেলে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, প্রতি ঘরে ঘরে এমন সহোদর দুই ভাই থাকলে দুশ্চিন্তার আর কোন কারন থাকবে না। কারন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ছোট ভাইকে নিরাপত্তা দিবে বড় ভাই আর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বিপরীতমুখী রাজনীতি করার কারনে বড় ভাইকে নিরাপত্তা দিবে ছোট ভাই। এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বেরাচারী দোষররা আত্মগোপনে চলে গেলেও বহাল তরিয়তে রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা হাবু মিয়া। স্বেরাচারী সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ালেও একটি মামলাও তাকে হজম করতে হয়নি। অথচ স্বেরাচারী সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ নেতা এই হাবু মিয়া বিএনপি নেতাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে পুলিশি হয়রানী করেছেন বলেও উঠেছে অভিযোগ। এমনকি, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সাধারন আন্দোলনরত সাধারন ছাত্র জনতার উপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে হাবু মিয়ার উপর। কিন্তু ছোট ভাই ফতুল্লা থানা যুবদলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় বরাবরের মতই সেফজোনে রয়েছে স্বেরাচারী দোসর আওয়ামীলীগ নেতা হাবু মিয়া। এমনই অভিযোগ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এটাতো গেলো বড় ভাইয়ের অপরাধের ফিরিস্তি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে বলেন, স্বেরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে বড় ভাই আওয়ামীলীগ নেতা হাবু মিয়ার শেল্টারে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত যুবদল নেতা রতন। এই রতনের রয়েছে এলাকায় বিশাল কিশোরগ্যাং বাহিনী। এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ইটভাটা দখল, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ রয়েছে যুবদল নেতা রতনের বিরুদ্ধে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে করে বেড়ানো বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড এখনো অব্যাহত রেখেছে যুবদল নেতা রতন। এলাকার মধ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেয়া হচ্ছে কিশোরগ্যাং নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। এতে করে ভীত সঞ্চারের সৃষ্টি হয়েছে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে। তাই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে জেলা বিএনপির নেতৃনৃন্দ এবং জেলা পুলিশের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধী আমার যতই ঘনিষ্টজন হউক না কোন দলের সুনাম রক্ষার্থে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম জানান, এমন কোন অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে, কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।