1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে প্রতারণা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী গ্রেফতার বন্দরে সাংবাদিক ইমনের মায়ের ইন্তেকাল, জানাজা সম্পন্ন ফতুল্লায় মাদক কারবারের পাওনা টাকার জন্য যুবক আড়াইহাজারে  জামায়াতে ইসলামীর পথসভায়  বিএনপির হামলা, সংঘর্ষ, আহত-৭ ভোটের অধিকারের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীরা জীবন দিয়েছে-মামুন মাহমুদ ‘রূপগঞ্জে মামুন হত্যাকাণ্ডে শামীম ওসমানের দোসররা অপপ্রচার করছে’ সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবি

গৃহবধূ লামিয়া হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লায় গৃহবধূ লামিয়া আক্তার ফিজা (২১) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও ঝাড়ুমিছিল করেছেন করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৬ ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন রবিন ওরফে ককটেল রবিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শামীম ওসমানের ক্যাডার সন্ত্রাসী চুন্নুর বন্ধু। তারা দুইজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি। গৃহবধূ লামিয়া হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে শামীম ওসমানের দুই সন্ত্রাসী ককটেল রবিন ও চুন্নু একসাথে বিশাল টাকা বিনিয়োগ করছে। এই দুই সন্ত্রাসীকে দ্রুত গ্রেফতার করলে লামিয়া হত্যার সকল আসামিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তারা অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ছাত্র-জনতা ৬ হত্যা মামলার আসামি ককটেল রবিনকে বহিঃষ্কারের দাবি জানান।

লামিয়ার বাবা ও মামলার বাদী মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে লামিয়া হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে ছাত্রহত্যা মামলার আসামি ককটেল রবিনের সহযোগিতায় অন্যদিকে নেয়া চেষ্টা করছে। মামলার প্রধান আসামিদের ধরছেনা। ককটেল রবিন, চুন্নুর মতো সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলার আসামি হয়েও কী করে নারায়ণগঞ্জে অপেন ঘুরে বেড়াচ্ছে। ককটেল রবিন হত্যা মামলার আসামি তোফাজ্জলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে মামলা নষ্ট করার পায়তারা করছে। প্রশাসনের কাছে বলবো, সন্ত্রাসী চুন্নু, তোফাজ্জল, প্রধান আসামি মুন্না, আকলিমা, মনু, মুন্নি, মনির হোসেনকে গ্রেফতার চাই। ফতুল্লা থানায় আরও তিনটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে মূল আসামিদের গ্রেফতার করেছে পুুলিশ। অথচ আমার মেয়ে হত্যার আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রত্যেক দফতরে দফতরে গিয়ে কান্না করতে হচ্ছে।

মানববন্ধনে লামিয়ার বড় ভাই আরাফাত আল ফাহিম বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি লামিয়াকে তার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্না ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্মমভাবে হত্যা করে। এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তারা লাশ ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার সত্যতা পাওয়ায় থানায় মামলা করা হয়। এ ঘটনার পর আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের কাউকে ধরতে পারছে না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’

এসময় ককটেল রবিন, সন্ত্রাসী চুন্নসহ সকল আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঝাড়ুমিছিল ও জুতামিছিল করে এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনরা।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি রাতে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় শ্বশুরবাড়ির জানালার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লামিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় তার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্নাসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই আত্মগোপনে ছিলেন। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জেনে প্রতিবাদ করায় লামিয়াকে হত্যা করা হয়। ৬ জানুয়ারি ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। ৭ জানুয়ারি লামিয়ার বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট