যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে নগরীকে বাসযোগ্য ও নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর ১৮ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে নাগরিক সংগঠন ‘নগর ভাবনা’। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে নগর ভবনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামানের হাতে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন: ‘নগর ভাবনা’র আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, এড. মাজেদুল হক রাজন, ওমর ফারুক, রাইসুল রুশদী, আবু কালাম, লিলু মিয়া, নিগার সুলতানা পলি, মাহবুব আলম জয়, মুন্নি সরদার, গোপাল ঘোষ, রফিকুল ইসলাম, জনি সাহা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, এখানে বাণিজ্যিক নগরী হওয়ায় প্রতিদিন নগরীর কেন্দ্রস্থলে স্থায়ী জনসংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি লোকসমাগম ঘটে। এতে যানজট এখন একটি নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, সুস্থ, সৌহার্দপূর্ণ নাগরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য খেলার মাঠ, গণপরিসর এবং জলাশয়ের বড় ঘাটতি রয়েছে।
ড্যাপ (ডেভেলপমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান) অনুযায়ী, পুরো নগরীতে খেলার মাঠের জন্য প্রয়োজন ১২০.৩৮ একর, কিন্তু বর্তমানে আছে মাত্র ৩৩.৪ একর এবং পার্কের চাহিদা ৭৪.৩৬ একর, যেখানে রয়েছে মাত্র ২.৫২ একর।
এই পরিস্থিতিতে নগরীকে বাসযোগ্য ও নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৮ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়।
১৮ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দাবির মধ্যে রয়েছে: নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে চাষাড়া রেলস্টেশন পর্যন্ত উড়াল/পাতাল পথে যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহণ।২নং রেল গেইট থেকে চাষাড়া পর্যন্ত রেললাইনের পাশ দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণ। শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে বিকল্প সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা।নাগরিক চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে এলইডি লাইট স্থাপন। নারী বান্ধব টয়লেট নগরীতে স্থাপন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়া (ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত বর্জ্য অপসারণ) অনুসরণ। মাসদাইর মহাশ্মশান সংলগ্ন জায়গা (ধর্মীয় প্রয়োজনে) অধিগ্রহণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনায় সি.সি. ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশে ফুটপাতে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ। শীতলক্ষ্যা নদী দূষণরোধে কার্যকর উদ্যোগ। অপ্রতুল খেলার মাঠ ও গণপরিসরের অভাব পূরণে সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা ব্যবহার ও অধিগ্রহণের ব্যবস্থা।