যুগের নারায়ণগঞ্জ:
এখনো বহাল তরিয়তে রয়েছে স্বেরাচারী দোসরদের অন্যতম হোতা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক দীলিপ মন্ডল ওরফে কুলাঙ্গার দীলিপ।

জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতা দমন নিপীড়নে সরাসরি নেতৃত্বে দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও রহস্যজনক কারনে নিশ্চুপ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এমনও অভিযোগ রয়েছে, নব্য কিছু বিএনপির লেবাসধারী নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুলাঙ্গার এই দীলিপ।

তাছাড়া স্বেরাচার সরকার পতনে একদফা আন্দোলনে ফতুল্লা থানা গেইট সংলগ্ন এলাকায় স্বেরাচারী দোসরদের দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ করাসহ আন্দোলনরত সাধারন ছাত্রদের উপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এই কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা দীলিপ ওরফে কুলাঙ্গার দীলিপের বিরুদ্ধে এখনো কোন মামলা না হওয়াসহ গ্রেপ্তার না হওয়ার পেছনে নামধারী কিছু বিএনপি নেতার প্রত্যক্ষ সহযোগিতাকে দায়ী করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এদিকে সম্প্রতি, সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও শুরু হয়েছে সন্ত্রাসীদের দমনে ডেভিলহান্ট অভিযান। স্থানীয় সাধারন মানুষ স্বেরাচারী আওয়ামী দোসরদের গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আওয়ামীলীগ নেতা দীলিপ মন্ডল ওরফে কুলাঙ্গার দীলিপের গ্রেপ্তার দাবিসহ তার কাছে রক্ষিত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিও জানিয়েছেন।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী হিসেবে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা দাবড়িয়ে বেড়াত আওয়ামীলীগ নেতা দীলিপ মন্ডল। কখনো আওয়ামীলীগ নেতা কখনো বা শামীম ওসমানের প্রেস সচিব পরিচয়ে পুরো ফতুল্লাজুড়ে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল দীলিপ মন্ডল৷

এমনকি নিজ এলাকায় মন্দিরের উন্নয়নের স্বার্থে অনুদানের অর্থ, বাড়ী নির্মানে চাঁদা আদায়, পুলিশ দিয়ে নীরিহ মানুষের হয়রানীর মাধ্যমে গত ১৭ বছরে কয়েক কোটি টাকার অবৈধ অর্থের মালিক বনে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এই কুলাঙ্গার দীলিপের বিরুদ্ধে। মুন্সিগঞ্জে ও নারায়ণগঞ্জে একাধিক প্লটের মালিক এই জারজ সন্তান দীলিপ।

গডফাদার শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ার সুবাধে অতি সহজেই বিভিন্ন অপরাধের সথে জড়িত থেকে খুবই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ দমন নীপিড়ন চালানোর পরও পার পেয়ে গেছেন। এমনকি, তার অপকর্মের বিষয়ে একটি টু শব্দ করার সাহস পায়নি কেউ। যদিও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করতেন তার উপর নেমে আসতো অমানবিক নির্যাতনের খড়গ। কখনো সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা কিংবা পুলিশ হয়রানীর মাধ্যমে নিজ হীন স্বার্থ হাছিল করে বেড়াত এ কুলাঙ্গার দীলিপ।

হরিহর পাড়া শিষমহল এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৭ বছর সাধারন মানুষ জিম্মি দশায় ছিল। কথা বলা এবং স্বাধীনদেশে স্বাধীনভাবে চলারও ক্ষমতা হরন করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাই আন্দোলনে স্বেরাচারী সরকারের পতনের পর এলাকাবাসী নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।

এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়কে কোন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে কখনো হয়রানী হতে হয়নি। আওয়ামীলীগ নেতা দীলিপ মন্ডলের মত কুলাঙ্গারের মাধ্যমে আমরা নির্যাতিত হয়েছি। দীলিপ মন্ডল তার স্বার্থের জন্য স্বজাতি লোকদেরকেও ছাড় দেয়নি। এমনকি, কোন ব্যাক্তি যদি একটি নতুন ঘর মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিতে হলেও দীলিপের সান্দিধ্য পেতে হত এবং তার দাবিকৃত চাঁদা প্রদান করা হতো। তবে, চাঁদার ধরনটা ছিল মন্দির উন্নয়নের নামে। এ পর্যম্ত মন্দির সংষ্কার নামে কত কোটি টাকা যে দীলিপ মন্ডর আত্মসাত করেছে এর হিসেবে কয়েক মাসেও শেষ করা যাবে না।

এমনকি, জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী ক্যাডারদের কাছে দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে এ এলাকা থেকে। দীলিপ মন্ডল নিজ দাড়িয়ে সাধারন আন্দোলনরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে পরিতাপের বিষয়, এত অপকর্মের হোতা গডফাদার শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগি দীলিপ মন্ডল এখনো রয়েছে বহাল তরিয়তে!

তাই এলাকাবাসী দাবি করেছেন দীলিপের মত এসকল কুলাঙ্গারদের চিহ্নিত করে তাদেরকে শক্ত হাতে দমনকরাসহ রক্ষিত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

এব্যাপারে দীলিপ মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন।