1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুসারী যুবদল কর্মী মো. রতন, মামুন মোল্লা, রনি মোল্লা, মোবারক মোল্লা, রিফাত মোল্লা ও মো. ভুবন এবং রেজাউল করিমের অনুসারী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ যুদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নূর ই্ ইয়াসিন, যুবদল নেতা আতাউর রহমান, হাবিবুর রহমান, যুবদল কর্মী শাহ পরান ও শাহ আলম। তাদের মধ্যে যুবদল কর্মী মো. রতনকে সংঘর্ষের জের ধরে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, সোনারগাঁ বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিমের মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় আজহারুল ইসলাম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এরপর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকে যান। কিছু সময় পর রেজাউল করিম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে উত্তেজনা শুরু হয়। আজহারুল ইসলামের সমর্থকরা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টাপাল্টি স্লোগানের একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুরো উপজেলা চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ জনগণ শহীদ মিনার এলাকা ছেড়ে চলে যান।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন বলেন, ‘আমরা উপজেলা চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় রেজাউল করিমের লোকজন শ্রদ্ধা জানাতে এসে মান্নান সাহবের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করে। রেজাউল করিমের সঙ্গে তখন সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তপন ফারুক, যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক, পিরোজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ছিল। তারা গত ১৫ বছর আমাদের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম অত্যাচার করেছে। মান্নান সাহেবের নেতাকর্মীরা তখন জাতীয় পার্টির নেতাদের উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দেয় ‘ রেজাউলের সঙ্গে কারা, ফ্যাসিবাদের দালালেরা।’ এই শ্লোগানকে কেন্দ্র করে তখন উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে রতন নামে আমাদের একজন যুবদলকর্মী বাড়ি ফেরার সময় যুবদল নেতা নূর ই্ ইয়াসিন তার লোকজন নিয়ে কুপিয়ে যখম করে।

তবে নূর ই ইয়াসিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মান্নান সাহেবকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নির্ধারিত সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ের পর আমরা নেতাকর্মী নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সেখানে থাকা মান্নান সাহেবের লোকজন আমাদের কটুক্তিসহ নানান শ্লোগান দেয়। এনিয়ে সংঘর্ষ হয়। আমি কোন যুবদল কর্মীকে মারধর করিনি।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী জানান, ঘটনাস্থলে আমিসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট