মোঃ জাহিদ হোসেনঃ দীর্ঘ এক বছর থেকে মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে প্রেমিক নুর ইসলাম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ঈদের পরের দিন বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থান।
অতঃপর স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী শালীস মিমাংসার নামে প্রেমিক প্রেমিকাকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়ার নাম করে প্রেমিকের বাড়ী থেকে প্রেমিকাকে বের করে দিয়ে শুরু করে টালবাহানা। অসহায় প্রেমিকা সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে আজ সোমবার (০৩ জুলাই) সকালে আবারও বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক নুর ইসলামের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধুলাতৈর গ্রামের সীমপাড়ায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে নুর ইসলাম পাশের বাড়ীর জনৈক এক কিশোরীর সাথে দীর্ঘ প্রায় এক বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক। দৈহিক মেলামেশাও করেছে একাধিকবার বলে সরজমিনে গিয়ে প্রেমিকার সাথে কথা হলে এমন ঘটনার কথা জানান প্রেমিকা।
প্রেমিকার একটাই কথা আমার জীবন নষ্ট করেছে, আমাকে বিয়ে না করলে ছেলের বাড়ীতে আত্মহত্যা করবে বলেও উপস্থিত জনগনের সামনে প্রকাশ করে। ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় জনৈক ইউনুছ আলী (৬০), বাবুল হোসেন (৫৫)’সহ আরও অনেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীকে দায়ী করে বলেন, অসহায় মেয়েটির সাথে অবিচার করছে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী। বিচারের নাম করে ছেলেটিকে সরিয়ে দিয়েছে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী।
প্রেমিকার মা রহিমা বেগম (৫৫) মেয়ের সুষ্ঠ্য বিচারের দাবী জানিয়ে বলেন, মেয়ে কিছু হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকা অবস্থান করছিল। মেয়ের মা রহিমা বেগম সুষ্ঠু বিচারের আশায় বিরল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছিল। এলাকাবাসী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করে সুষ্ঠ্য বিচারের দাবী করেছেন।