1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী গ্রেফতার বন্দরে সাংবাদিক ইমনের মায়ের ইন্তেকাল, জানাজা সম্পন্ন ফতুল্লায় মাদক কারবারের পাওনা টাকার জন্য যুবক আড়াইহাজারে  জামায়াতে ইসলামীর পথসভায়  বিএনপির হামলা, সংঘর্ষ, আহত-৭ ভোটের অধিকারের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীরা জীবন দিয়েছে-মামুন মাহমুদ ‘রূপগঞ্জে মামুন হত্যাকাণ্ডে শামীম ওসমানের দোসররা অপপ্রচার করছে’ সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহাবুবকে নোটিশ

শৈলকূপায় ভাগিজাসহ ৩ শিশু কে পুড়িয়ে মারার দায়ে চাচার মৃত্যুদন্ড

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

শৈলকুপায় ভাতিজাসহ ৩ শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে চাচার মৃত্যুদণ্ড

মনিরুজ্জামান সুমনঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজাসহ তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে চাচা ইকবাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো নাজিমুদ্দৌলা এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইকবাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মো. গোলাম নবীর ছেলে। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকুপার কবিরপুর গ্রামের আসামি ইকবালের সঙ্গে তার বাবা গোলাম নবীর টাকা সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে বিরোধ হয়। এরই জের ধরে ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আসামি ইকবাল কার্টুন দেখানোর কথা বলে নিজের ঘরে ভাতিজা সাফিন, আমিন ও ভাগ্নে মাহিনকে ডেকে নেয়। এরপর তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে, গ্যাসের সিলিন্ডার খুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাফিন ও আমিন দগ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাগ্নে মাহিনও মারা যায়। এ ঘটনায় সাফিন ও আমিনের বাবা দেলোয়ার বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পূর্ব তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকূপা থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার এস আই ইমদাদুল তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইকবালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলায় একমাত্র আসামি ইকবালকে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে। আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম জানান, ছোট ছোট বাচ্চাদের কোনো অপরাধ ছিল না। ওদের বাবার সঙ্গেও আহামরি কোনো রকম দ্বন্দ্ব ছিল না। তারপরও তাদেরকে ফুসলায়ে ঘরের ভিতর নিয়ে হাতুর দিয়ে মেরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। আদালত যে রায় দিয়েছে এই রায়ে আমাদের পরিবার সবাই সন্তষ্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী (পিপি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আসামি ইকবাল ঘরের ভিতর নিষ্পাপ তিনটি শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর আসামির বিচারেরর দাবিতে শৈলকুপাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিচার চেয়ে মানববন্ধন করে শিশুদের স্বজনেরা। আজ বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিকে যে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে তাতে আমরা সন্তষ্ট প্রকাশ করছি। এই ঘটনার মধ্যদিয়ে শিক্ষণীয় বিষয় হলো সমাজে এমন নির্মম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট