বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে দোকান বাকী টাকা না পেয়ে পাওনাদারের সন্ত্রাসী হামলায় দেনাদারের ডানহাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনার দীর্ঘ ১৬ দিন পর অবশেষে পাওনাদার দোকানী বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী- ৬ আদালতে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভ্থক্তভোগী আহত জালামিন বাদী হয়ে পাষান্ড দোকানী পলাশকে আসামী করে উল্লেখিত আদালতে এ পিটিশন দায়ের করেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের দড়ি-সোনাকান্দা হক সাহেবের গল্লি এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। পিটিশনের তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের দড়িসোনাকান্দা এলাকার আশোক আলী মিয়া ছেলে জালামিন (৩৫) মদনগঞ্জ রেললাইনস্থ কর্নফুলী ডকইযার্ডে শ্রমিকের কাজ করে আসছে। এ সুবাদে দিনমজুর জালামিন একই এলাকার মৃত রফু উদ্দিন মিয়ার ছেলে মুদীদোকানী পলাশের নিকট থেকে বাকিতে সদাই করে এবং সে সাথে মাসে মাসে টাকা পরিশোধ করে থাকে। সে হিসেবে দোকানী পলাশ দিনমজুর জালামিনের নিকট ২৪’শ টাকা পাওনা হয়। দোকান বাকি টাকার জন্য পাওনাদার পলাশ মিয়া দেনাদার জালামিনকে টাকা পরিশোধের জন্য প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার সময় পাওনাদার পলাশ মিয়া দেনাদার জালামিনকে খবর দিয়ে দোকানের সামনে এনে দোকান বাকী টাকার জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। ওই সময় দেনাদার জালামিন পাওনাদার পলাশের নিকট একটু সময় প্রার্থনা করলে ওই সময় পাওনাদার ক্ষিপ্ত হয়ে দেনাদার দিনমজুর জালামিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠাসোটা ও দোকানের ওজন মাপা ১ কেঁজি ওজনের বাটকারা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে আঘাত করলে ওই সময় দেনাদার জালামিনের ডান হাত ভেঙ্গে যাওয়াসহ কাটা জখম হয়। এ ব্যাপারে আহত দেনাদার বিচার চেয়ে না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ১৬ দিন পর পাওনাদারকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন।