1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

মনোনয়ন বঞ্চনায় ক্ষোভের আগুনে দগ্ধ বিএনপি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে মোট পাঁচটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি চারটি আসনের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই ঘোষণার পর থেকেই তিনটি আসনে দলীয় নেতাদের তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মনোনয়নবঞ্চিতরা নিয়মিত মশাল মিছিল, বিক্ষোভসহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করছেন। এমনকি তারেক রহমানের কাছে নাম পরিবর্তনের দাবিতে চিঠিও দিয়েছেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় বিএনপি।

অন্যদিকে গত এক বছর ধরে পাঁচটি আসনেই একক প্রার্থী নিয়ে সংগঠিতভাবে মাঠে কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম ভোটারদের কাছে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

নারায়ণগঞ্জ-১
রূপগঞ্জ উপজেলাভিত্তিক এ আসনে বিএনপির টিকিট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। মনোনয়ন না পেলেও অন্য দাবিদার কাজী মনিরুজ্জামান মনির ইতোমধ্যেই দিপুর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিএনপি তুলনামূলক শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন মোল্লা নিয়মিত মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-২
আড়াইহাজার উপজেলাকে কেন্দ্র করে গঠিত এ আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ। কিন্তু তার মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি নিয়ে মাঠে আছেন মাহমুদুর রহমান সুমন, পারভীন আক্তার ও সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর।
জামায়াতের ইলিয়াস মোল্লা এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ রেখে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করেছেন। বিএনপি নেতাদের কোন্দল ভোটারদেরও শঙ্কিত করে তুলেছে।

নারায়ণগঞ্জ-৩
সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে বঞ্চিতরা—অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন ও রেজাউল করিম—নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থেকে প্রায়ই মশাল মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
জামায়াতের প্রার্থী ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া নিয়মিত প্রচারণায় ব্যস্ত।

নারায়ণগঞ্জ-৪
ফতুল্লা, আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে এখনো বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। জোটের অংশীদার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসাইন কাসেমী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপির শাহ্ আলম, মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও মশিউর রহমান রনিও জোরালোভাবে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জামায়াতের মাওলানা আবদুল জব্বার নিয়মিত জনসংযোগ করছেন। আসনটি বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় জোট থেকে ছাড় দিলে ভোট কোথায় যাবে তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে সন্দেহ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৫
সিটি করপোরেশনের ১১–২৭ নম্বর ওয়ার্ড ও বন্দর উপজেলা নিয়ে এ আসন। বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। কিন্তু তার প্রার্থিতা নিয়ে বঞ্চিতরা—সাখাওয়াত হোসেন খান, আবু আল ইউসুফ টিপু, আবুল কালাম ও আবু জাফর আহমেদ—অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন।
জামায়াতের মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ নিয়মিত প্রচারণায় ব্যস্ত। স্থানীয়রা মনে করেন, বিএনপির ঐক্য বজায় থাকলে এ আসনে তাদের জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি—তবে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়ালে হিসাব বদলে যেতে পারে।

বিএনপির অবস্থান

বিএনপি নেতারা বলছেন, এটি শুধু প্রাথমিক মনোনয়ন; দল প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। শেষ পর্যন্ত যারাই চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন, সবাই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন বলে তাদের দাবি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট