ফতুল্লা প্রতিনিধিঃ ফতুল্লা থানার ইসদাইর এলাকায় পারিবারিক বিরোধ কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে কাঞ্চন বিবি (৭৭) নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের পুত্র কামাল হোসেন। মামলায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও অজ্ঞাত নামা ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়।
নিহত কাঞ্চন বিবি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চর পাকের দেহর মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী।
ঘটনার পরপরই পুলিশ রোববার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নিহতের নাতিনের স্বামী মোঃ ইব্রাহিম(২৭), শ্বাশুড়ি কামিনা বেগম(৪২), সুমি আক্তার (৪৫), আছমা বেগম (২৭) ও সোনিয়া আক্তার (১৮)।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, দুই বছর পূর্বে বাদীর বোনে সালমার মেয়ে বৃস্টির সাথে গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারনে পারিবরিক কলহ লেগেই থাকতো। এ সকল বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিসি বৈঠক ও হয়। ২৯ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে ও বাদীর ভাগনী বৃস্টি ও তার স্বামী ইব্রাহিমের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে ৩০ এপ্রিল রোববার সকাল ১০ টার দিকে বাদীর বোন সালমার ভাড়াটিয়াস্থ বাসা উত্তর ইসদাইর আদর্শ নগর হাসেম খানের বাসায় সালিসি বসে। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়প ইব্রাহিম উত্তেজিত হয় নিহত কাঞ্চন বেগমের চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে উঠানে নিয়ে যায়। অপর অভিযুক্ত আসামীরা তখন এলোপাতাড়ি ভাবে তাকে মারপিট করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পরলে তাকে উদ্ধার করে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক জানায়, মামলা হয়েছে। এজাহারনামীয় পাঁচ জন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে