1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

এবার স্বার্থ হাসিলে টিপুর বাসায় ধনকুবের মাসুদ!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর খোঁজখবর নিতে তাঁর বাসায় গিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ–৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

১৬ নভেম্বর (রোববার) বিকেলে শহরের আমলাপাড়াস্থ টিপুর বাসায় গিয়ে তাঁরা পারস্পরিক আলোচনা করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, নুরুল ইসলাম সরদার, আনোয়ার হোসেন আনুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তবে টিপুকে দেখতে যাওয়ার এই সৌজন্যটুকু থমকে থাকা নগর রাজনীতিকে শান্ত করতে পারেনি। বরং মাসুদুজ্জামানকে প্রার্থী ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে ক্ষোভ, অস্থিরতা ও তীব্র বিভক্তি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় নেতা–কর্মীরা:

দীর্ঘদিন ধরে নানা বিতর্ক ও সমালোচনার কেন্দ্রে থাকা মাসুদুজ্জামান ওরফে ‘মডেল মাসুদ’কে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তাদের অভিযোগ—দলে তাঁর দৃশ্যমান রাজনৈতিক ভূমিকা ছিল না, বরং অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহলে অবস্থান করেছেন এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়েছেন।

গতকাল শনিবার রাতেই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা–কর্মীরা মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল, আবুল কাউসার আশা প্রমুখ।

‘দলে কখনও ছিলেন না’— অভিযোগ সাখাওয়াতের:

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন,
“নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে যে ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে, তিনি আমাদের রাজনীতির অঙ্গনে কখনও ছিলেন না। তৃণমূল তাঁকে চেনে না। এতে কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।”

তাঁর দাবি, আন্দোলন–সংগ্রামে মাঠে থাকা ত্যাগী নেতাদের পাশ কাটিয়ে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন,
“ত্যাগী ও মাঠে থাকা নেতাকর্মীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত ছিল।”

অর্থপ্রভাব ও তদবিরের অভিযোগ:

স্থানীয় নেতাদের দাবি—টাকার প্রভাব, লবিং ও তদবিরের মাধ্যমেই মাসুদুজ্জামান দলে প্রবেশ ও মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তিনি হঠাৎ বিএনপির পরিচয় ব্যবহার শুরু করেন এবং কিছু নেতাকে আর্থিকভাবে প্রভাবিত করে রাজনীতিতে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন।

ব্যবসায়িক বিতর্কও আলোচনায়:

বিএনপি নেতাদের একাংশ অভিযোগ করেন—আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি করেন। এমনকি ব্যাংক মালিকানা পরিবর্তনসহ আর্থিক অনিয়ম নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় নানা গুঞ্জন রয়েছে। এসব কারণে তাঁর প্রার্থীতা নিয়ে আরও শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে নেতারা মন্তব্য করেন।

স্থানীয় নেতারা আরও বলেন—আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগও দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত।

দলে ভাঙন বাড়ার আশঙ্কা:

মাসুদুজ্জামানের প্রার্থী ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে স্পষ্ট ভাঙন দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের বড় অংশ তাঁকে গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেছেন। অনেক নেতাই তাঁর পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে অনাগ্রহী।

স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন—
“এই বিতর্কিত মনোনয়ন বাতিল করে পরীক্ষিত, জনপ্রিয় ও যোগ্য কাউকে প্রার্থী করলে তৃণমূল আবার ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।”

স্থানীয় ও ঘনিষ্ঠ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে, মাসুদুজ্জামান ওরফে মডেল মাসুদ অত্যান্ত একরোখা প্রকৃতির মানুষ।  Do or dai নীতিতে চরম রিক্স নিয়েই সকল কাজকর্ম সম্পাদন করেন।  তাই নারায়ণগঞ্জ সদর বন্দর আসনে মনোনয়ন পেয়ে চিন্তামুক্ত হতে চরম বেহায়ার মতো ডোর টু ডোর নক করে যাচ্ছেন চরমভাবে নিগৃহীত হওয়ার পরও। মাসুদুজ্জামান ওরফে মডেল মাসুদ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে যা যা করার তা করবেই এমন মনোবাসনা থেকেই একদিনের মধ্যেই টিপুর বাসায় হাজির হয়েছেন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট