1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

ফতুল্লার মাসদাইর শ্মশানে সাংবাদিক পরিচয়ে গাঁজার রমরমা ব্যবসা: আলোচনায় ‘কলকি আতা’

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে আতাউর রহমান আতা ওরফে ‘কলকি আতা’ নামের এক ব্যক্তি।

শিক্ষকতার কোনো যোগ্যতা না থাকলেও নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। তবে স্থানীয়রা তাকে চেনেন একজন ‘গাঁজাখোর’ ও ‘ছিনতাইকারী’ হিসেবে।

অভিযোগ রয়েছে, মাসদাইর পৌর শ্মশানের ভেতরেই তার নেতৃত্বে চলছে মাদক ব্যবসার রমরমা আসর। এ অভিযোগ স্বীকার করেছেন শ্মশানের আহ্বায়ক অসিত বরন সাহা। তিনি জানান, শ্মশানের অভ্যন্তরে গাঁজা বিক্রি বন্ধ করতে হলে নামধারী সাংবাদিক আতাউর রহমান আতা ওরফে কলকি আটাকে গ্রেপ্তার করতেই হবে।

গাঁজার আসর শ্মশানের ঘরগুলোতে

স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিন রাত ৮টার পর থেকেই শ্মশানের ভেতরে কলকি আতার নেতৃত্বে জমে ওঠে গাঁজা ও ইয়াবার আসর। এলাকার ছিনতাইকারী, টোকাই ও মাদকসেবীরা সেখানে জড়ো হয়। শ্মশানের ভেতরে ছোট ছোট ঘরগুলোতেই চলে মাদকের বেচাকেনা।

ধর্মীয় উপাসনালয়ের ভেতরে এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বলছেন, এতে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। কিন্তু, কলকি আতা সশস্ত্র অনুসারীসহ এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পান না কেউ।

সাংবাদিক নাকি মাদক ব্যবসায়ী ?

স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, কলকি আতা কোন পত্রিকায় কাজ করেন, সেটি স্পষ্ট নয়। সাংবাদিক পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা চালানোর অভিযোগে বিব্রত স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—“এমন গাঁজা ব্যবসায়ী কলকি আতার মতো লোকজন কিভাবে সাংবাদিক কার্ড পায় ?”

শ্মশান কমিটির আহ্বায়কের বক্তব্য

মাসদাইর পৌর শ্মশানের আহ্বায়ক অসিত বরন বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে হলুদ সাংবাদিক কলকি আতার নিয়ন্ত্রণে শ্মশানের ভেতরে গাঁজা-ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলেও আমরা অসহায়। স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা হয়নি।”

সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদের অভিযোগ

নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, “আমরা কয়েক দফা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালালেও মাদক ব্যবসায়ীরা আগেই টের পেয়ে পালিয়ে যায়। কিছুদিন আগে স্থানীয়দের সহায়তায় কলকি আতা ও তার সহযোগীদের ধরে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল। তবুও তারা আবার পুরনো কর্মকাণ্ডে ফিরে গেছে।”

পুলিশের অবস্থান

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “কলকি আতা সাংবাদিক পরিচয়ে শ্মশানের ভেতরে মাদক ব্যবসা করছে—এমন অভিযোগ পেয়েছি। আমরা একাধিকবার অভিযান চালিয়েছি। বর্তমানে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, ধর্মীয় উপাসনালয়ের ভেতরে এমন মাদক ব্যবসা শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, সমাজের জন্যও লজ্জাজনক। তারা দ্রুত কলকি আতা ও তার গডফাদারদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট