যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে বিউটি পার্লারের ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি ফাতেমা আক্তার মুক্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদরের বরফকল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফাতেমা মুক্তাকে নারায়ণগঞ্জ সদর আমলী আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মূলত, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী শশী বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আত্মীয়তার সুবাদে শশীর আস্থা অর্জন করেন ফাতেমা। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বিউটি পার্লার ব্যবসা চালুর কথা বলে শশীর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেন মু্ক্তা। শর্ত ছিল, দুই বছরের মধ্যে মূল টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি, পার্লার থেকে অর্জিত মোট মুনাফার অংশ থেকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা শশীকে দেয়া হবে। এ বিষয়ে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র এবং মানি রশিদ তৈরি করা হয়।
কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও ফাতেমা মুক্তা টাকা ফেরত না দিয়ে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে বাদী টাকা চাইতে গেলে ফাতেমা মুক্তা তাকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার পর থেকেই ফাতেমা আক্তার মুক্তা পলাতক ছিলেন। অবশেষে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে মুক্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতারণার এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম জানান, ৪০৬ এবং ৪২০ ধারার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মুক্তাকে আদালতে তোলা হলে, আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, আদালতের ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের এমন তাৎক্ষণিক ও সক্রিয় ভূমিকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এমন প্রতারণার ঘটনা যেন আর কেউ ঘটাতে না পারে, সে লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের সংশ্লিষ্টরা।