
বছর খানেক আগে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এক বিশাল ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করেছিলেন শামীম ওসমান। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জবাসী। যদিও, এর পর বিভিন্ন কারনে ওইরকম ভাবে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়নি। তবে আবারো ওইরকম ভাবে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হবে বলে নগরবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন শামীম ওসমান। অতঃপর সেই আশ্বাস বাস্তবে রুপান্তরিত হচ্ছে।
যুগেরনারায়ণগঞ্জঃ এবারের ঈদের জামাতকে বিশাল ও মনোমুগ্ধকর করতে আবারো একেএম সামসুজ্জোহা স্টেডিয়াম, চাষাঢ়া পঞ্চবটি সড়ক ও নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানকে একত্রিত করে সাজানো হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ল্যাপটপ বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি একথা জানান।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার খুব একটা শখ ছিলো, যে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ঈদের জামাত করবো। দেখতেও সুন্দর এবং মানুষও হবে। আগে একেএম সামসুজ্জোহা স্টেডিয়াম, রাস্তা ও ঈদগাহ নিয়ে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করেছিলাম। এবারও ওরকম ভাবেই করবো ইনশাআল্লাহ। সকাল ৮টা বাজে জামাত হবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জামাত হবে কি না জানি না, তবে সবচেয়ে সুন্দর জামাত হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা মক্কা-মদিনা যান নাই, তারা যাতে মদিনার টেস্ট পান; আনন্দটা পান সেই ব্যবস্থা করা হবে। এটা অত্তন্ত ব্যায়বহুল হবে। ঢাকা ঈদগাহের চেয়ে ১০০ গুন সুন্দর হবে নারায়ণগঞ্জের জামাত।’
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, ‘মৃত্যু কখন হয় জানা নেই, তাই আজকেই তোমার জিবনের বেস্ট কাজটা করো। আজ তোমাদের সবার মাঝে ল্যাপটপ দেয়া হবে। এজন্য না যে তোমাকে ক্লাসে ফাস্ট হতে হবে। বরং তোমাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য। কখনো প্রতিযোগিতায় যেওনা, জ্ঞানী হও। আমি আশা করি তোমরা এটা পারবা। তোমাদের জন্য ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে, তাই এদেশের প্রতি তোমারও দায়িত্ব আছে।’
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজর উদ্দিন ভূইয়া, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, প্রমুখ।