যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী দোসর আজমেরী ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত কাজী ফয়সাল হোসেন জিকু ও কাজি নূর ইসলাম পরশ। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে চলে গেলেও এখন প্রকাশ্যে আবারো আতংক সৃষ্টি করে চলেছে তাদের বাহিনী। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সৃষ্টি করছে এলাকায় আতংক।

আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগীতায় নেমেছে মাঠে। সচেতন মহল বলছে, কাজী ফয়সাল হোসেন জিকু ও কাজী নূর ইসলাম পরশকে আইন-শৃংখলাবাহিনী এখনই না রুখলে বড় ধরণের নাশকতা ও প্রানহানীসহ বিঘ্ন হবে শান্তি শৃংখলা। জাতীয় পার্টির প্রবিন নেতা কাজী এজাজ এর ছেলে কাজী ফয়সাল হোসেন জিকু ও ভাতিজা কাজী নূর ইসলাম পরশ।

সুত্রমতে, ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আজমেরী ওসমানসহ এলাকার অন্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই নারায়ণগঞ্জের হাজী সাহেব হিসেবে পরিচিত আজমেরী ওসমানের আস্থাভাজন ও পারভী ওসমানের প্রিয় পাত্র ক্যাডার কাজী ফয়সাল হোসেন জিকু ও কাজী নূর ইসলাম পরশ বিএনপি নেতাদের সাথে আতাত করে টাকা দিয়ে সম্পর্ক করে এলাকায় ফিরে ঘুরাফেরা করছে প্রকাশ্যেই।

বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জের হাজী সাহেব হিসেবে পরিচিত গণহত্যাকারী আজমির ওসমানের হয়ে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্বশান্ত করে দিয়েছে অনেক পরিবারকে এই জিকু ও পরশ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা অস্ত্রসহ সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও আজমেরি ওসমানের সাথেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল বলে জানা যায়। নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে আজমেরী ওসমানের অন্যতম ক্যাডার ছিল তারা। হাজী সাহেবের এর নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া,জমি দখল,চাঁদাবাজিসহ সকল ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াতে জিকু ও পরশ।