যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর গুলিবর্ষনকারী আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী ইসদাইর বুড়ির দোকান এলকার সন্ত্রাসী নাসির ৫ আগষ্টের পর দেশ ছেড়ে বিদেশ পালিয়ে গেলেও এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছে তার আপন ছোটভাই সাইফুল সহ নাসিরের ব্যাক্তিগত সেকেন্ড ইন কমান্ড যুবলীগ নেতা ইয়ামিন ও আল আমিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্র হত্যা মামলার আসামী পলাতক নাসিরের ছোটভাই সাইফুলের ইসদাইর এলাকায় একটি অবৈধ অটোরিক্সার গ্যারেজ রয়েছে। তার নামে কোন হত্যামামলা না থাকায় এলাকাতেই অবস্থান করছে সে। তবে দিনের বেলা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে না আসলেও রাতের আধারে এলাকায় নিজের অটো গ্যারেজে বসে পুরোনো আধিপত্য পুনরুদ্ধার করতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, সন্ত্রাসী নাসিরের ব্যাক্তিগত সেকেন্ড ইন কমান্ড সন্ত্রাসী ইয়ামিন পলাতক থাকলেও বর্তমানে তার বড় ভাই আল আমিন এবং নাসিরের ছোটভাই সাইফুল, রাজিব ও নাসিরের ভাতিজা কিশোর গ্যাং লিডার ইভনের মাধ্যমে এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের দিয়ে নিয়মিত মহড়া দেওয়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইসদাইর এলাকায় আজমেরী ওসমানের ব্যানার দিয়ে ৭/৮ জন যুবকের উপস্থিতিতে ঝটিকা মিছিল করে আতংক সৃষ্টির পায়তার করছে সন্ত্রাসী নাসিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড ইয়ামিন।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে সন্ত্রাসী নাসিরের শেল্টারে ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকা সহ আশেপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্য কায়েম করেছিলো এই ইয়ামিন, সাইফুল, রাজিব ও ইভনরা। তাদের নেতৃত্বে মাদক, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক মানুষের জমি
দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চলতো। ৫ আগষ্টের পর স্বৈরাচারের দোসররা সব এলাকা থেকে পালিয়ে গেলে এতদিন শান্তিতে ছিলো এলাকাবাসী। তবে বর্তমানে আবারো তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এতে করে এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আতংকে দিনাতিপাত করছে। যে কেনো মুহুর্তে বড় ধরনের নাশকতার আশংকাও করছেন স্থানীয় মহল।