যুগের নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সৈয়দপুর কড়ইতলা এলাকার আওয়াল বেপারীর পুত্র, ভুমিদূস্য বাছেদ বেপারীর বিরুদ্ধে একাধীক অভিযোগ উঠলেও পুলিশের নাগালের বাইরে বাছেদ। এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অভিযোগে প্রকাশ,আওয়ামীলীগের আমলে শামিম ওসমানের কর্মী পরিচয়ে চাদাবাজী, লুটপাট, টেন্ডারবাজী করে বেড়াতেন কড়ইতলার বাছেদ বেপারী ওরফে কাইস্টা বাছেদ। এই কাইস্টা বাছেদ নাজির ফকিরের সাথে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন সামাজিক বিচার শালিসে যেতেন আর টাকার বিনিময় সত্যকে মিথ্যা বানাতেন বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগিরা। বাছেদ নদীরপারে নিজ বাড়ির নিচে মাদকের আখড়া গড়ে তোলেন আর সেই সাথে ক্যাডার হয়ে ওঠেন রাতারাতি। গাজা, ইয়াবা ও দেশী বিদেশী মদ দিয়ে কিশোর গ্যাং লালন পালন করতেন আর যেখানে সেখানে ছিনতাই করাতেন বলে সুত্রে জানা যায়। বাছেদের বিরুদ্ধে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, দস্যুতা, দখলদারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে কড়ইতলা ও বরফকল বাসিদের। বাছেদ বেপারীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী আরো জানায় দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা তথা জনশৃংখলা বিঘœ করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি ও উত্তেজনা সৃষ্টির অভিপ্রায়ে জনসম্মুক্ষে প্রচারনা চালানোসহ আমলযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগ আছে। বাছেদ বেপারী মাদকের টাকা দিয়ে ইউপি নির্বাচন করার জন্য মাঠে নামেন কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ভোট দেয়নি। বাছেদ মাদক-কারবারী হলেও অন্যদিকে অবৈধ ড্রেজারের ব্যবসা পরিচালনা করতেন যার কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা থাকতো বেহাল। আর কোনো সাধারণ ব্যাক্তি অভিযোগ করলে কিশোর গ্যাং দিয়ে মারধর করাতো এই কাইস্টা বাছেদ। বাছেদের কুকর্ম আজও থেমে নেই, যাকে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে চাদাবাজী করেই চলেছে। আমাদের সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা সরজমিনে গিয়ে দেখেন ঘটনা আসলেই সত্য, তবে বাছেদ বেপারীকে এলাকায় পাওয়া যাইনি তাই এলাকাবাসি জানায় আপনারা আসবেন বলে টের পেয়ে পালিয়েছে বাছেদ। আমরা চাই বাছেদকে দ্রæত আইনের আওয়াতায় আনে শাস্তি দেওয়া হোক। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কিভাবে আজও বেপোয়ারা ভাবে লুটপাট করছে? কীভাবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে?
বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত বলে ভূক্তভূগী এলাকাবাসী মনে করেন।