1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী গ্রেফতার বন্দরে সাংবাদিক ইমনের মায়ের ইন্তেকাল, জানাজা সম্পন্ন ফতুল্লায় মাদক কারবারের পাওনা টাকার জন্য যুবক আড়াইহাজারে  জামায়াতে ইসলামীর পথসভায়  বিএনপির হামলা, সংঘর্ষ, আহত-৭ ভোটের অধিকারের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীরা জীবন দিয়েছে-মামুন মাহমুদ ‘রূপগঞ্জে মামুন হত্যাকাণ্ডে শামীম ওসমানের দোসররা অপপ্রচার করছে’ সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহাবুবকে নোটিশ দিনাজপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সংযমের মাসে সীমাহীন ভোগবিলাসিতা .

মোছাঃ রিনা বেগম
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে

রেডিও তেহরানে প্রকাশিত একটি সংবাদ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল যা আরও বেশকিছু মিডিয়াতেও এসেছিল গত কয়েক বছর আগে। সংবাদে বলা হয়-“সংযম এবং আত্মশুদ্ধির পবিত্র মাস রমজানে সৌদি আরবে খাদ্য অপচয়ের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। পবিত্র মক্কা শরীফের নগর পরিষদ বলেছে, তাদের পক্ষে ক্রমবর্ধমান খাদ্য অপচয় রোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিষদের কর্মকর্তা ওসামা আল-জাইতুনি বলেছেন, রমজানের প্রথম তিন দিনে নগরীর অনিচ্ছুক কর্মীদের পাঁচ হাজার টন বর্জ্য সরাতে হয়েছে।
.
২৮ হাজার মৃত ভেড়ার দেহাবশেষ এ হিসাবের মধ্যে ধরা হয়নি। এছাড়া, পবিত্র কাবাঘরের আশেপাশে ৪৫টি বর্জ্য সংকোচন যন্ত্র বসানো হয়েছে এবং বন্ধের দিনগুলোতে ময়লা অপসারণে বাড়তি আট হাজার কর্মী নিয়োগ করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা। পবিত্র রমজান মাসে ৪০ লাখ মানুষের জন্য যে খাদ্য তৈরি করা হয় তার ৩০ শতাংশই না খেয়ে ফেলে দেয়া হয়। এভাবে অপচয়ে ব্যয় হয় তিন লাখ ৩২ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ। অবশ্য, খাদ্য অপচয় কেবল সৌদি আরবে হয় না বরং এ প্রবণতা তেলের অর্থে বিত্তশালী সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যেই দেখা যায়। কাতারে পবিত্র রমজান মাসে যে খাবার প্রস্তুত করা হয় তার এক-চতুর্থাংশই ফেলে দেয়া হয়।”
.
সওম (রোজা) অর্থ সংযম। প্রকৃতপক্ষে সওম হচ্ছে সমস্ত প্রকার রিপুর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা কোরে আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার জন্য একটি আত্মিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ বিশেষ। সওম মানে শুধু দিনের বেলা পানাহার ও স্ত্রী-সঙ্গ পরিহার করা নয়। রমজান মাসে যেখানে খাবার দাবার ও ভোগ বিলাসের উপর সতর্ক হওয়ার কথা সেখানে আজ এর উল্টো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংযমের পরিবর্তে সমগ্র মুসলিম বিশ্বেই চলে সীমাহীন ভোগ আর অপচয়। সওম (রোযা) এর একটা শিক্ষণীয় দিক হলো দরিদ্রের ক্ষুধার কষ্ট যেন ধনীরা উপলব্ধি করে এবং তাদের সম্পদে গরিবের যে ন্যায্য অধিকার রয়েছে তা যেন সে পূরণ করে। অথচ রমজান মাস এলে মানুষের খাওয়া দাওয়া, খরচ বেড়ে যায়। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। এমনকি ভোগ্য-পণ্যের সংকট দেখা দেয়। সারাদিন পানাহার না করলেও ইফতার কিংবা রাতে খাবার দাবারের মহোৎসবের সৃষ্টি হয়।
অন্যসময় সারাদিনে মানুষ যতটুকু খায়, সওম রেখে শুধু রাতের বেলায় তারচেয়ে অনেক বেশী এবং গুরুপাচ্য খাদ্য খায়। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত আয়োজনে ইফতার পার্টির প্রতিযোগিতা করা হয়। এসব ইফতার পার্টিতে দামী দামী প্রচুর পরিমাণ খাবারের আয়োজন করা হয়, প্রচুর অপচয়ও করা হয়, যা স্পষ্টতঃ বিলাসিতা। এ জাতীয় অপচয়ে সবচেয়ে অগ্রগামী হচ্ছে আরবীয় তথাকথিত মুসলিমরা যা উপরে দেখিয়ে আসলাম। অথচ এই মাত্রাহীন ভোগবিলাস ও আহার করাকে আল্লাহ কাফেরদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসাবে কোর’আনে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “যারা কাফের, তারা ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে এবং চতুস্পদ জন্তুর মত আহার করে- (সুরা- মোহাম্মদ-১২)।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট