1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ন

কিল্লারপুলে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলে হামলা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুর এলাকায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মিন্টুর বাড়ি দখলের চেষ্টায় দিনভর হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা—এ হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লিপি আক্তার। ঘটনার পর গত ২৮ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগে লিপি আক্তার উল্লেখ করেছেন, কিল্লারপুর মাজার গলিতে তার পিতা মৃত মোক্তার হোসেন মিন্টুর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে তিনি নিজেই ঘর নির্মাণ করে ভাড়াটিয়াদের কাছে ভাড়া দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি মৃত শওকত আলীর ছেলে মনির হোসেন মুকুল, তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা, ছেলে নিলয়, নির্জন ও আক্তার হোসেনের ছেলে সূর্য জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তারা একাধিকবার ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসা ছাড়ার হুমকি দেয়।

এর আগে ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্তরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও কোনো প্রতিকার পাননি।

এর ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে মুকুল, নাসরিন সুলতানা, নির্জন, সূর্যসহ ৪০–৫০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে এবং বাধা দিতে গেলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাহাবানু (৭০) ও মেয়ে লিজাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও গলার ১২ আনার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। হামলাকারীরা ঘরের মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।

পরে ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
তবে অভিযোগ দায়েরের পরও দুই দিন পার হলেও মামলা রেকর্ড হয়নি বলে জানিয়েছেন লিপি আক্তার।

তিনি দাবি করেন, “রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। অথচ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য সবই রয়েছে।”

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট