
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
যুগের নারায়ণগঞ্জ:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে ছয় কিলোমিটার সড়ক জুড়ে থেমে থেমে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মহা সড়কের তারাবো বাসস্ট্যান্ড থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট বেড়ে দুপুর ২টায় কাঁচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত হয়।
যাত্রী নূরে আলম বলেন, দুপুর দেড়টায় মৈকুলি থেকে জ্যামে আটকা পড়ি। এক ঘণ্টা লেগেছে কাঁচপুর আসতে। দুপুরে ভাপসা গরমে প্রাণ যায় যায়। এভাবে কতদিন চলবে এ যানজট?
সিএনজি চালক বাবুল হোসেন বলেন, ‘এ সড়কে ভুলতা গাউছিয়া থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত হর হামেশাই থেমে থেমে যানজট লেগে থাকে। জ্যামে আটকা পড়ে কোনোদিন মালিকের জমা উঠাইতে পারি না। ২টা বাজে কাঁচপুর থেকে ট্রিপ নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। এক ঘণ্টায় রূপসী এসেছি।’
গ্লোরি পরিবহনের চালক সিদ্দিক হোসেন বলেন, পাঁচ মিনিটের রাস্তা মৈকুলি থেকে বরাবো অতিক্রম করতে ৫০ মিনিট লেগেছে।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, খানা খন্দের কারণে তারাবো বিশ্বরোড থেকে তারাবো পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারে না। ৮০-১০০ মাইল গতিতে চলা গাড়িটিও এখানে এসে ১৫-২০ মাইল গতিতে চলা শুরু করে। এতে গাড়ির চাপ বাড়ার সঙ্গে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য প্রতিবন্ধকতা, আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভেঙে চালকরা বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন তৈরির কারণেও যানজট হচ্ছে। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশেও জনবলেরও সংকট রয়েছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।