যুগের নারায়ণগঞ্জ:
সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকর ফাতেমা বেগম হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত মো. রাশেদুল ইসলাম নান্টুকে আটক করেছে র্যাব-১১। মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁও উপজেলার টিপরদী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত অভিযুক্ত মো. রাশেদুল ইসলাম নান্টু সোনারগাঁও থানার পুরান টিপরদী, এসিআই গেইট, কাজীবাড়ির মৃত কাজী আব্দুল কাশেমের ছেলে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে সোনারগাঁও থানার বস্তুল গ্রামস্থ বস্তুল টু গাউসিয়াগামী পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশের ঢাল থেকে ফাতেমা বেগম (বন্দর উপজেলার দশদোনা গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২১ সেপ্টেম্বর, শনিবার বিকেলে। অভিযুক্ত মো. রাশেদুল ইসলাম নান্টু তার শাশুড়ী ফাতেমা বেগমকে ব্যাংকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত নান্টু জানান, তিনি তার শাশুড়িকে ৩৩ হাজার টাকাসহ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত ফাতেমা বেগম বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়ার পর বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।পরের দিন সকালে সোনারগাঁও থানার বস্তুল গ্রামস্থ বস্তুল টু গাউসিয়াগামী পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশের ঢালে ফাতেমা বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮:০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোনো সময় ফাতেমা বেগমকে তার মেয়ের জামাই অভিযুক্ত মো. রাশেদুল ইসলাম নান্টু শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ফাতেমা বেগম বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের নান্টুর ঋণের জামিনদার ছিলেন। ঋণের টাকা মওকুফের উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোনারগাঁও থানা পুলিশ নিহত ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এরই প্রেক্ষিতে নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা সোনারগাঁও থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
আটককৃত অভিযুক্ত মো. রাশেদুল ইসলাম নান্টুকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।