যুগের নারায়ণগঞ্জ:
কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন নারীকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ, ঢাকার খিলক্ষেতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ সনাতনী ছাত্র সমাজ।
রোববার (২৯ জুন) বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জ সনাতনী ছাত্র সমাজ, জাগো হিন্দু পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট-এর যৌথ ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। খিলক্ষেতের মন্দির ভাঙচুর তারই উদাহরণ। অথচ দেশের বহু সরকারি জমি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠলেও সেগুলো উচ্ছেদে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।”
তারা বলেন, “হিন্দুরা এই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ৯ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হয়েছেন। এরপরও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি।”
সরকার ও সামরিক বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, “আপনারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।”
সমাবেশে বক্তারা মিথ্যা মামলা, ধর্মান্তরকরণ এবং সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র দে, জাগো হিন্দু পরিষদের উপদেষ্টা কৃষ্ণ দাস কাজল, সহসভাপতি চন্দন কুমার, সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অভয় কুমার রায়, সদস্য সচিব কার্তিক ঘোষ, রূপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রাহুল দাস রিপন, জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা।
নারায়ণগঞ্জ সনাতনী ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অভিকর নয়ন, আনান কুমার সাহা, দুর্জয় সাহা পলক, দেবনীল ভট্টাচার্য, শ্রাবণ সাহা, হৃদয় দে, বিজয় দাস, অরিজিৎ রায়, শুভ জিৎ সাহা, সুজন রায়, প্রীতি দে, অবন্তি কর, নন্দিনী দাস, পূজা সাহা প্রমুখ।