যুগের নারায়ণগঞ্জ:
মুন্সীগঞ্জ সদরে প্রাইভেটকারের সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা লাগায় বাকবিতন্ডার জেরে পুলিশকে লক্ষ্য করি গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে ১টি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি, ৩ রাউন্ড খোসা ও ৭০ পিস ইয়াবাসহ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় দিপুর বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি মুন্সিগঞ্জের পাশাপাশি ফতুল্লায় তার বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রামপাল কলেজের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবক সাব্বির হোসেন ওরফে দিপু (২৯) ফতুল্লার মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। সে ফতুল্লা মডেল থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ অর্ধডজনের বেশি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে পলাতক ছিল।।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন— এএসআই এমদাদ হোসেন, কনস্টেবল রবিউল ও কনস্টেবল সাজেদুল।
পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার রামপাল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার সময় কলেজের সামনের রাস্তায় একটি প্রাইভেটকারের (রেজিস্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো গ-১৩-৭২০৮) সঙ্গে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা ওই যুবক নেমে রিভলবার বের করে প্রদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক হাতিমারা তদন্তকেন্দ্রের ডিউটিরত পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করার চেষ্টা করলে ওই যুবক ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তাকে আটকের সময় ধস্তাধস্তিতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ওই যুবককে মারধরসহ প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করলে গাড়িতে থাকা ওই যুবকের সহযোগী মুকুল (৩৩), শাহাদাত হোসেনসহ (৩৪) অপর দুইজন পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দিয়ে আগামীকাল আদালতে প্রেরণ করা হবে।