যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সংকট নিরসনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণসংহতি আন্দোলন। সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর কার্যালয়ে দুই দলের মধ্যে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কিশোর গ্যাং ও মাদক, করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি, যানজট ও ফুটপাতসহ নগর ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
দাবিগুলো হল: ১. মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক পক্ষপাতহীনভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. করোনা মোকাবেলায় আইসিইউ সেবা চালু ও পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো, যথেষ্ট কিট ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ৫. যানজট নিরসনে থ্রি হুইলার নিয়ন্ত্রণ ও ফুটপাতকে পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করতে হবে। ৬. দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত করে জনভোগান্তি লাঘব করতে হবে। ৭. আওয়ামী শাসনামলে গুম-খুনসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বন্দরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে চলেছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দুই দল মিলে ৭টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং একসঙ্গে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিজয় কেবল ক্ষমতার হাতবদল ছিল না, তা ছিল রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তনের অঙ্গীকার। গত ১৭ বছরে নারায়ণগঞ্জ গুম-খুন-সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা নতুন নারায়ণগঞ্জ গড়ার লড়াইয়ে আছি, থাকব।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও নারায়ণগঞ্জের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ। কাউকে একচুল ছাড় দেওয়া হবে না।”
সভায় জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা’র “গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” ও “গ্রেট ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ গেট” নির্মাণ উদ্যোগকে দুই সংগঠন স্বাগত জানায়।
ইসলামী আন্দোলন থেকে উপস্থিত ছিলেন: মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, শেখ মুহাম্মদ হাসান আলী, মাওলানা শামসুল আলম, মুহা. ইসমাইল হোসেন, মুহা. শফিকুল ইসলাম, মুহা. মোস্তফা তালুকদার, সাইম হুসাইন, শাহ্ মুহাম্মদ ছগির হোসেন প্রমুখ।
গণসংহতি আন্দোলন থেকে উপস্থিত ছিলেন: বিপ্লব খান, অঞ্জন দাস, পপি রানী সরকার, আলমগীর হোসেন আলম, জাহিদ সুজন, নাজমা বেগম ও মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।