1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

জিয়া পরিবারকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য: জড়িতদের পরিচয় প্রকাশ করলেন জুয়েল

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সর্বত্র এনিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক নাজমুল হাসান বাবু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মালায় শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্ত ব্যাক্তি জুয়েল রানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিভিন্ন পোষ্ট দেয়াসহ নারায়নগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে যুনদল নেতা পরিচয় দিয়ে উক্ত ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন জুয়েল রানা।

অভিযুক্ত জুয়েল রানা নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তার। তবে, ঐ দিনের ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন। স্থানীয় যুবদল ক্যাডার অনিক, আরিফ, আবির, শাহীনসহ কয়েকজন গোঁপনে কোমল পানীয় কোল্ড ড্রিংকের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাকে সেবন করান এবং সেবনের কিছুক্ষন পরই অনিক, ইমরান, আবির এবং শাহীনদের নিয়ন্ত্রনে তিনি চলে যান এবং তারা তাকে যেভাবে শিখিয়ে দিচ্ছে সে ভাবেই আচার আচারন করে আসছিলেন। একটা পর্যায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্যও তারা উষ্কানি দিয়ে থাকেন। একটা পর্যায়ে তাদের উষ্কানিতে তিনিও অশালীন মন্তব্য করতে বাধ্য হন। এমনকি, অনিক, আবির, আরিফ এবং শাহীন তাকে যেভাবে শিখিয়ে দিচ্ছে ঠিক সে ভাবেই তিনি কথা বলেছেন। এসময় অনিক, আবির ও শাহীন এবং আরিফ তাদের মুঠোফোনে এ ভিডিওটি ধারন করে রাখেন। তবে, ঐ দিন কি ঘটেছিল তার কিছুই স্মরন ছিল না বলেও জুয়েল রানা দাবি করেন। ৫-ই আগষ্ট স্বেরাচারি হাসিনা সরকারের পলায়নের পর পরই ধারনকৃত ভিডিওটি তার নজরে আনেন যুবদল ক্যাডার অনিক, আবির, আরিফ এবং শাহীন।

জুয়েল রানা আরো দাবি করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া ভিডিওটি পর্যালোচনা করলেই দেখা যাবে, আমাকে উক্ত যুবদল ক্যাডারদের দেয়া নেশাদ্রব্য মিশ্রিত কোমল পানিয়ে পান করার কারনে নিজের উপর থেকে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি এবং তাদের শিখিয়ে দেয়া কথা বলতে থাকি।

জুয়েল আরো দাবি করেন, তিনি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের স্বীকার। যুবদল ক্যাডাররা এ ভিডিওকে পুঁজি করে কয়েক লাখ টাকা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদের দাবিকৃত ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অর্থ প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করায় যুবদল ক্যাডার আবির, আরিফ, অনিক এবং শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করে দেন।

জুয়েল কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমিতো ব্ল্যাকমেইলিংয়ের স্বীকার। দেশমাতা বেগম খালেদাজিয়া এবং তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার পিছনে যারাই কলকাঠি নেড়েছেন তাদের সকলের শাস্তি তিনি দাবি করেন। সে সাথে অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্য জিয়া পরিবারসহ বিএনপির সকল স্তরের নেতা কর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাসহ প্রত্যক্ষভাবে ঘটনার সাথে জাড়াই জড়িত ছিল প্রত্যেকের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এদিকে উক্ত বিষয়ে মামলার বাদী নাজমুল হাসান বাবু বলেন, দেশমাতা বেগম খালেদাজিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যারাই কুটুক্তি করবে তাদেরকে বিন্দু পরিমানও ছাড় দেয়া হবে না। আজকে যদি ব্যাক্তি (নাজমুল হাসান বাবু) কে নিয়ে মন্তব্য করা হত তাহলে আমি ক্ষমা করে দিতাম। কিন্তু জিয়া পরিবার এবং আমার দলকে নিয়ে যদি কেউ বাজে মন্তব্য করেমতাহলে তাদের জিভ ছিড়ে ফেলা হবে এবং তারা যদি মাটির গভীরেও লুকিয়ে থাকে সেখান থেকে তাদের খোঁজে বের করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হবে।

নাজমুল হাসান বাবু আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আমরা দেখতে পেরেছি অভিযুক্ত জুয়েলের সাথে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। কারন, ভিডিওটি ভালভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আরো কয়েকজন জিয়া পরিবারকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জন্য জুয়েলকে উষ্কে দিচ্ছে। ঐদিনের ঘটনায় যুবলীগের কর্মী জুয়েলের সাথে কারা কারা জড়িত ছিল তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট