যুগের নারায়ণগঞ্জ:
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এবং স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একটি ভিডিও ক্লীপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই থেকে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে, উল্লিখত ভিডিও ভাইরালের ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তি জুয়েল রানা নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েল রানা নিজেকে এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক দাবি করেন এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ তাকে ফাঁসিয়েছে বলেও দাবি করেন। প্রায় ৩ বছর পূর্বে ঢাকা-মাওয়া সড়কে কোমল পানির সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে উষ্কানি দিয়ে তাকে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে আশ্রাব কথা বলতে বাধ্য করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশনায়ক এবং চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়াকে মা বলে সম্ভোধন করে এ ঘটনার জন্য জুয়েল রানা দেশ ও জাতি এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আমাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য ল পান করিয়ে এসমস্ত অশ্লীল কথা বার্তা আমার মুখ থেকে বলিয়েছে। ভিডিও ক্লীপটি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, পাশে থেকে আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে যাতে করে আমি অশ্লীল কথা বার্তা বলি। মূলত, জুয়েল রানা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের স্বীকার হয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েল রানা আরো দাবি করেন, এ ভিডিও ক্লীপকে পুঁজি করে আমার কাছে থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এমনকি পূনরায় আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাজা দাবি করেন ঐ চক্রটি। তাদের দাবিকৃত অর্থ প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করায় এডিট করে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এর মধ্যেও জুয়েল রানা নিজেকে দোষী দাবি করে দেশনায়ক তারেক রহমান, দেশমাতা খালেদাজিয়া এবং স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এমনকি, তাকে যে সকল ব্যাক্তি ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে এ ভিডিও তৈরী করেছে তাদেরও বিচার দাবি করেন জুয়েল রানা।