যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক ব্যবসায় বাধা প্রদান করায় মজনু নামের এক ব্যাক্তিকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মেহেদীসহ তার লোকজনদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় হামলার স্বীকার মজনুর রহমান নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মাদক ব্যবসায়ী মেহেদী তার ভাই রিজভী এবং পিতা কালামসহ সহাযোগী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে একটিমমামলা দায়ের করেন।
মামলায় মজনুর রহমান উল্লখ্য করেন, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকার চিহ্নিত মাদকের ডিলারের হিসেবে পরিচিত মেহেদী। এই মেহেদী ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুঁচরা মাদক সরবরাহ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মাদক ব্যবসায়ী মেহেদীর মাদকের ছোবলে আসক্ত হয়ে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে এলাকার যুব সমাজ।
গত মঙ্গলবার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকায় প্রকাশ্যে মরন নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট প্রকাশ্যে বেচাকেনা করছিল মাদক ব্যবসায়ী মেহেদীসহ তার লোকজন। এসময় মজনুর রহমান এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রিতে বাধা প্রদান করেন এবং মাদক বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে করে মাদক ব্যবসায়ী মেহেদী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী মেহেদীসহ তার ভাই রিজভী, বাবা কালাম এবং মেহেদীর সহযোগী ইব্রাহীম বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মজনুর উপর হামলা চালায় এবং মজনুকে মারধর করে গুরুতর জখম করে৷ এক সময় মেহেদী এলাকায় হুংকার দিয়ে বলে যে, তাদের মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা প্রদান করলে মজনুর মতই অবস্থা হবে। পরে স্থানীয় লোকজন মজনুকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার শরীফুল ইসলাম জানান, আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলার আদেশ কপি তাদের থানায় তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী মেহেদীর বসবাস এবং এনায়েতনগর ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইসলামের ভাতিজা। ইসলাম মেম্বারের প্রত্যক্ষ শেল্টারে এই মেহেদী দীর্ঘ সময় ধরে ইয়াবার পাইকারী ও খুঁচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তাছাড়া মেহেদীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী মাদক ব্যবসা বন্ধে মেহেদীসহ তার শেল্টার দাতা ইসলাম মেম্বারের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।