1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়ে প্রতারণা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী গ্রেফতার বন্দরে সাংবাদিক ইমনের মায়ের ইন্তেকাল, জানাজা সম্পন্ন ফতুল্লায় মাদক কারবারের পাওনা টাকার জন্য যুবক আড়াইহাজারে  জামায়াতে ইসলামীর পথসভায়  বিএনপির হামলা, সংঘর্ষ, আহত-৭ ভোটের অধিকারের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীরা জীবন দিয়েছে-মামুন মাহমুদ ‘রূপগঞ্জে মামুন হত্যাকাণ্ডে শামীম ওসমানের দোসররা অপপ্রচার করছে’ সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবি

বন্দরে রাহিম হত্যায় ২৩ জনকে আসামি করে মামলা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পিকআপ চালক শহিদুল ইসলাম রাহিম (২০)‌কে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা রাশিদা বেগম। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে বন্দর থানায় এ মামলা করা হয়।

এজাহারে নাম উল্লেখ থাকা আসামিরা হলো: মো. ইকবাল হোসেন (২৫), সালাউদ্দিন (৪৫), শিষ্টি আক্তার (৩৮), হাসিব (২০), হিমেল (২১), মাকসুদ (২২), আমজাদ হোসেন (২৫), জামান (২৮), রহমত আলী (৪৫), হাবিব উল্লাহ (৩০), এবং বাধন (২৫)।

এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

নিহত শহিদুল ইসলাম ওরফে রাহিম (২০) পেশায় একজন পিকআপ চালক। তিনি বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর রহমানের ছেলে।

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারপাড়া এলাকায় অভিযুক্ত ইকবালের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে রাহিম বাসায় ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মা দোকান থেকে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করেন। রাহিম জানান, তিনি আসছেন। এরপর রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে স্থানীয় এক নারীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে রাহিমের মা, বোন এবং স্ত্রী মিলে বারপাড়ার ইকবালের বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, রাহিমকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, একপর্যায়ে ২ নম্বর আসামি সালাউদ্দিন তার হাতে থাকা ইট দিয়ে রাহিমের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। এছাড়া ৩ নম্বর আসামি শিষ্টি আক্তার তার পেটে লাথি মারতে থাকে। অন্যান্য আসামিরা লাঠি দিয়ে রাহিমের শরীরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। রাহিমের মা বারবার অনুরোধ করলেও আসামিরা হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। এমনকি সাদা কাগজে সই ছাড়া তাকে হাসপাতালে নিতে দেওয়া হবে না বলেও জানায়।

পরে পুলিশ এসে রাহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাহিম মারা যান।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট