যুগের নারায়ণগঞ্জ:
বদলে যাচ্ছে শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতাল। ডাক্তার ও রোগীদের নিরাপত্তার জন্য চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ হবে। এছাড়া অপরাধীদের অবাধ যাতায়াত রুখতে স্থায়ী আনসার ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ-কর্মসূচির আওতায় শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতাল পরিদর্শনকালে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এসব কথা জানান।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়ক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), নির্বাহী প্রকৌশলী (গণপূর্ত), রেসিডেন্ট সার্জন (আরএস), কনসালটেন্টসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক ডাক্তারদের হাসপাতালের নতুন ভবন পরিদর্শন করে দ্রুত সেখানে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। নার্সদের জন্য নির্মিত নতুন ভবনের কাজ অসমাপ্ত থাকায় সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মাদকের আস্তানা গড়ে উঠেছে। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়াও ডাক্তারদের জন্য নির্মিত আবাসিক এলাকা এবং আনসার সদস্যদের জন্য আবাসন সুবিধার প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করেন এবং আনসারদের জন্য একটি আবাসন নির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পরিদর্শনের সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে, হাসপাতালে হুইল চেয়ারের সংকট রয়েছে। যা অসুস্থ রোগীদের চলাচলে ভোগান্তির কারণ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীদের জন্য ৫টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন, যা রোগী সেবায় বড় ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে। এরপর তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, সেবা কক্ষ ও চত্ত্বর ঘুরে সার্বিক পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পর্যালোচনা করেন এবং ওয়ার্ডসমূহকে সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে তিনি বলেন, সেবাগ্রহীতাদের জন্য একটি মানবিক, উন্নত ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের অন্যতম অঙ্গীকার। তিনি হাসপাতালকে একটি সুগঠিত, আধুনিক ও যুগোপযোগী রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
কর্মসূচির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলার স্বাস্থ্য খাতে একটি গুণগত পরিবর্তন সূচিত হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা, সেবার মান এবং পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও মানবিক শহরে রূপান্তর করার লক্ষ্য সামনে রাখা হয়েছে।
৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল কাইউম জানান, ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল ২০০ শয্যা থেকে ৩০০ শয্যায় রুপান্তরিত হলেও অর্গোনোগ্রাম সেই আগেরটায় রয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার আরো নতুন করে ৫০০ শয্যার ভবন নির্মিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় অর্গোনোগ্রাম পরিবর্তন করে লোকবল নিয়োগ না দিলে আশানুরূপ সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমরা ডিসি স্যারকে জানিয়েছি যেন উনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে জনবলের এই সমস্যা স্থায়ী সমাধানে পদক্ষেপ নেন। ডিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন উনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।