যুগের নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউট নতুন ভবন উদ্বোধনের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্মাণ করা হয়নি ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক। এদিকে ফটকের জায়গা দখল করে আছে দুটি অস্থায়ী দোকান। যার ফলে প্রতিনিয়ত চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক ও চলাচলের পথ হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু সড়কের ডিআইটি মার্কেটের মধ্য দিয়ে। ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য মার্কেটের ওই অংশটি সিটি কর্পোরেশন উচ্ছেদ করে খালিও করে। কিন্তু পরবর্তীতে ওই জায়গায় অস্থায়ী মেলা বসানো হয়। মেলা উঠে গেলেও ফুটপাতের পাশে দুটি দোকান রয়ে যায়। আর দুই দোকানের মাঝ বরাবর শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য রাস্তা রাখা হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সে রাস্তা একদম সরু করে দেয় দোকানীরা। ওই সরু পথে ক্রেতারা দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করায় শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে চলাচল করতে পারতো না।
অন্যদিকে, বর্তমানে দোকানীরা রাতে দোকান বন্ধ করার সময় ঝাপরা দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচলের রাস্তাটিও সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখে যায়। ফলে সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে পারতো না। মূল পথের পরিবর্তে বিকল্প পথে পার্কের মধ্যে দিয়ে ইনস্টিটিউটে যেতে হয়।
এদিকে ইনস্টিটিউটের মূল ফটক নির্মাণের দাবিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) যায় ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নাসিক নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে সাক্ষাৎ করে এবং অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করেন যত দ্রুত সম্ভব চারুকলার প্রধান ফটক নির্মাণের দাবি জানায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শিল্পী শামসুল আলম আজাদ বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটের গেটসহ তিনটা কাজ বাকি রয়েছে। আমরা গেটের জন্য মডেলও সাবমিট করেছি। কিন্তু কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে হচ্ছিল না। তাই গত সপ্তাহে আমরা প্রশাসকের সাথে দেখা করেছিলাম। আজ তার অগ্রগতি দেখার জন্য আমরা সিটি কর্পোরেশন গিয়েছিলাম। প্রকৌশলী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, কাজ শুরু করার জন্য ফাইল সাবমিট করেছে।
নাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থী ও শিক্ষরা এসেছিল। চারুকলার প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য নকশা তৈরীসহ বেশকিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওইসব কাজ শুরু করবো। এছাড়া যেসব সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে চারুকলা পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’