1. admin@jugernarayanganj.com : jugernaraya nganj nganj : jugernaraya nganj nganj
  2. multicare.net@gmail.com : যুগের নারায়ণগঞ্জ :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জিয়া পরিবারকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য: জড়িতদের পরিচয় প্রকাশ করলেন জুয়েল শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ব্যাংকের ১২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব নির্বাচন: ১১ পদে ২৪ প্রার্থী নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে ঐক্যের ডাক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২ ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন সদস্য না হতে পারে, সতর্ক থাকার আহ্বান আড়াইহাজার-রূপগঞ্জে গ্যাস সংকটে পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল আড়াইহাজারে ইয়াবাসহ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার বিএনপিতে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নেই: সাখাওয়াত মহানগর জামায়াতের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জে এক গডফাদার ছিলো এ গডফাদারের দাম্বিকতা আপনারা দেখেছেন গিয়াসউদ্দিন-যুগের নারায়ণগঞ্জ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে একজন গডফাদার ছিলো। এই গডফাদারের দাম্বিকতা আপনারা দেখেছেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানদের মাস্তান বানিয়েছিলো। ২০০১ সালে আমার সাথে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর যেভাবে পালিয়ে গিয়েছিলো, এবার তাদের পরাজয় হওয়ার পর কিভাবে পালিয়ে গেছে কেউ দেখে নাই। ২০০১ সালে পালিয়ে গেছিলো পরিবার নিয়ে, এবারও পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের নেতাকর্মীদের প্রতি একটুও দরদ নাই। সবাইকে না বলে চলে গেছে, আজকে তারা লুকোচুরি খেলছে। এমন নেতার পেছনে যারা যায় তারা নির্বোধ ছাড়া আর কি হতে পারে। কিভাবে অর্থ কামাবে আর পাওয়ার দেখাবে এটাই তাদের কাজ ছিলো। সেই জন্যই আজ দেশ ছাড়া। আমরা চাই আমাদের সাথে রাজনীতিতে বীর পুরুষরা আসুক, রাজনীতি করুক। আমি বলতে পারছি না, ওসমান পরিবারের আর কেউ জীবনে কোনদিন রাজনীতিতে আসতে পারবে কিনা জানা নাই। অর্থ, দাম্বিকতা, আর ক্ষমতার কারণে একটা রাজনৈতিক পরিবারের রাজনীতি করার ক্ষমতা চিরদিনের জন্য ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাদের দোষরদের বলতে চাই ‘এখনো আপনারা ভাবেন আপনারা আবার ফিরে আসবেন, এটা ভুল স্বপ্ন ভুলে যান।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে ৪টায় ফতুল্লা বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি নৈরাজ্যের প্রতিবাদে, ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, ২০০১ সালের পর থেকে অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। অনেক তরুণ, যুবক তৈরী হয়েছে। এরা হয়তো আমাকে কখনো দেখে নাই আমার সাথে কথা বলে নাই। কিন্তু বক্তাবলীতে আসার পর আমার নাতীর বয়সের শিশুরা আমার সাথে হাত মিলিয়েছে। খুশিতে আমার বুকটা ভরে গেছে। যে এলাকায় সম্মান স্নেহ পেয়েছি, সেখানে তার সন্তানরাও আমাকে ভালোবেসেছে। আমি এখানে আসার পর আমাকে যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছে, আমার সফরসঙ্গীদের জামাই আদর করে খাইয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনে এমন ভালোবাসা কোথাও পাইনি। জীবনভর আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এই আন্দোলনে আপনারা অনেকে অংশগ্রহন করেছেন, কেউ কেউ আন্দোলন না করলেও সমর্থণ দিয়েছেন। আবার অনেকে দোয়া করেছেন যাতে আমরা সফল হতে পারি। স্বৈরাচার ১৬ বছর যেভাবে এমনভাবে বাংলাদেশে অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করে খেয়েছে, এমনভাবে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে যা ভাষায় বর্নণা করার মতো না। ১৬ বছর আন্দোলন করার পর মানুষ যখন হতাশ যে, এই স্বৈরাচারী হাসিনাকে কোনভাবে সরানো যাবে না। তখন হঠাৎ করেই আমাদের ছাত্ররা আন্দোলনে নামলো, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে। এই আন্দোলন এমনভাবে চূড়ান্ত রূপ তৈরী করলো যে, অহংকারী দেমাগ সম্পন্ন শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতা ছাড়লো না, গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো। তাকে কে পালিয়ে যেতে বললো, আমরা তো তাকে পালিয়ে যেতে বলিনি ফুল দিয়ে ঢিল ছুড়ি নাই। কিন্তু সে কেনো চলে গেলো, প্রশ্ন তো এখানেই।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে পাকিস্তান আমল থেকে নির্বাচন হয়েছে, কেউ হারে কেউ জিতে। কোন দিন কি দেখেছেন কোন দলের এমপি মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাহলে এতো ক্ষমতাধারী, শক্তিশালী, ফ্যাসিস্ট হাসিনা কেনো পালিয়ে গেলো, এবং কারা তাকে তাড়ালো। আন্দোলন সংগ্রাম এমন পর্যায়ে গিয়েছিলো, তিনি বুঝে গেছে আমি যদি কিছুক্ষণ থাকি তাহলে প্রাণে রক্ষা পাবো না। এই জন্যই মূলত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঐতিহ্যের দাবীদার একটা রাজনৈতিক দল, এবং তার দলের প্রধানমন্ত্রী জনরোষে পালিয়ে গিয়ে তার দলটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, নেতাকর্মীদের ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সে নিজেকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। একটি প্রবাদ আছে ‘অহংকার পতনের মূল’। সে যে অহংকার করেছে আল্লাহর তরফ থেকে গজব পরেছে। সে পালিয়েছে কিন্তু তার মন্ত্রীরা কেনো পালালো, নিশ্চই তার মতো তার মন্ত্রীরাও অন্যায় করেছে দুর্নীতি করেছে। এই অপরাধ থেকেই বুঝতে পেরেছে এখানে থাকলে তারা বাঁচবে না। তারা তো পালিয়েছেই তার সাথে দেশের বিচারকরাও পালিয়েছে। কারণ তারা সঠিক রায় দেয়নি। শিক্ষকরাও পালিয়েছে, কারণ শিক্ষকদের ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেছে। পুলিশকে আওয়ামী লীগের বাহিনী বানিয়ে মানুষের উপর গুলি করেছে। মসজিদের ইমাম সাহেব পালিয়েছে, মসজিদের ইমামকেও তারা তাদের দলীয় বানিয়েছে।

জাতীয়তাবাদী মৎসজীবীদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সামাজিক আপ্যায়ন সম্পাদক মিলন মেহেদীর সভাপতিত্বে ও বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলীর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা, লোকমান হোসেন, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এড. খন্দকার আক্তার হোসেন, শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মন্টু মিয়া, কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন প্রমূখ।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট