যুগের নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লার হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেচ্ছার অপসারনের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ করে আসছেন উক্ত বিদ্যালয়ের কিছু সাধারন শিক্ষার্থী। তবে, কি কারনে স্বনামধন্য এ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেছার অপসারন চেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন সাধারন শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন কিছুই জানাতে পারছে না বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। নিদিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকলেও দীর্ঘদীন ধরেই উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারনসহ বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের খেলায় মেতেছে একটি প্রভাবশালী মহল এমন অভিযোগও উঠে আসছে একটি পক্ষ থেকে। বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসলেও কোন ধরনের সুবিধা করতে না পেরে এবার বিদ্যালয়টির কিছু সাধারন শিক্ষার্থীকে উষ্কে দিয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে একটি প্রভাবশালী মহল! তবে, বিদ্যালয়টির আন্দোলন সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তার প্রধান শিক্ষিকার অপসারনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন অভিযোগ দেখাতে পারেনি। সাধারন শিক্ষার্থীদের এক দাবি প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেচ্ছার অপসারন! এদিকে, হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিগত সময় থেকে বর্তমানে বিদ্যালয় প্রধানের দায়িত্বে যারাই ছিলেন প্রতিটি শিক্ষক যোগ্যতা সম্পন্ন ছিলেন। প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেচ্ছা ম্যাডামও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়টির পড়াশুনার মান অনেকটাই উন্নত হয়েছ। কিন্তু, সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু ছাত্র কি কারনে প্রধান শিক্ষিকার অপসারন দাবি করছে তার কোন যৌক্তিক কারন দেখাতে পারছে না? সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্য অপর একটি অংশ মনে করেন, স্বনামধন্য এ বিদ্যাপীঠকে ধ্বংসের খেলায় একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে, বিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, স্বনামধন্য এ বিদ্যাপীঠের সুনাম নষ্ট করার জন্য যারাই দায়ী থাকবে তাদের দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। কারন, কিছুতেই আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরা চাইবো না প্রিয় বিদ্যালয়টির সুনাম নষ্ট হউক। এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফ দীর্ঘদিন ধরেই হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টিকে ধ্বংস করার মিশনে কাজ করে আসছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়টির সুনাম নষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকলীগ নেতা আনু হানিফ তার হীন স্বার্থ হাসিল করার জন্য এ নগ্ন খেলায় মতে উঠেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। তবে কৃষকলীগ নেতা আবু হানিফ বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টা চালিয়েও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন ধরনের ক্ষতি করতে না পেরে এবার সাধারন শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, প্রধান শিক্ষিকাকে কি কারনে অপসারনের দাবি করছে সাধারন শিক্ষার্থীরা জানতে চাওয়া হলে হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেচ্ছা জানান, আমি জানিনা আমার সন্তানেরা কি কারনে বিক্ষোভ করছে। আমার বিরুদ্ধে আমার ছাত্ররা কোন ধরনের সুনিদিষ্ট অভিযোগ প্রমানসহ উপস্থাপন করুক আমি আমার পদ থেকে সরে দাড়াবো। তবে, কারো ইন্দনে এমনটা সত্যিই দুঃখ জনক। তবে, এ বিদ্যালয়ের প্রতিটা ছাত্র আমার সন্তানের মত। আমিতো আমার সন্তানদের স্বার্থ ব্যতিত কিছু চিন্তাও করতে পারি না। যদি তাদের কোন দাবি থাকে আমাকে জানাতে পারে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এবং শিক্ষক নেত্রীবৃন্দের সাথে বসতে পারে। অথচ, আমার সন্তানেরা তা না করে প্রভাবশালী একটি মহলের ইন্দনে অযৌক্তিক আন্দোলন করছে। যা আমাকে সত্যিই ব্যতিত করছে। এদিকে, সাধারন ছাত্রদের ইন্ধন জুগিয়ে পিছন থেকে কলকাঠি নারছে এমন অভিযোগের বিষয়ে ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, কৃষকলীগ নেতা আবু হানিফের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিই ছিল তার আয়ের অন্যতম উৎস। ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় আওয়ামীলীগ কার্য্যালয়ে বসেই একদল চাঁদাবাজদের সে নিয়ন্ত্রন করতেন। পঞ্চবটি টু মুন্সিগঞ্জ সড়কে চলাচলরত অটোরিকশা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি, সাধারন অটোচালকরা কৃষকলীগ নেতা আবু হানিফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করলে প্রশাসনের টনক নড়ে। এক পর্যায়ে প্রশাসনের উচ্চ মহল থেকে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন বলেও জানা গেছে। এবার তার হীনস্বার্থ হাছিল করার জন্য কোমল মতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করার মত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।