যুগের নারায়ণগঞ্জ:
আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর হামলা-লুটপাটের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকা এবং সব ধরনের সহযোগীতা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফতুল্লা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ মন্দির, সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তা এবং ফতুল্লাকে নিরাপদ রাখতে টিম গঠন করে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
ব্যবসায়ীরা জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা, লুটপাট শুরু হয়। এসব খবরে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। ভয়ে ফতুল্লা বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের অভয় দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেন রিয়াদ মোঃ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাদের আশ্বাসের পর ফতুল্লা বাজার, রাস্তার পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে ব্যবসায়ী মহল।
সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে অরাজকতা, নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন জায়গায় মন্দিরে এবং সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা চালাচ্ছে। এসব প্রতিরোধে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মী সংগঠিত হয়ে সংখ্যালঘু পরিবার, মন্দিরের নিরাপত্তা দেয়াসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার নিরাপত্তার জন্য একাধিক টিম গঠন করে পাহারা বসিয়েছে। সরকার পতনের পর ফতুল্লা মডেল থানা,ফতুল্লা ভূমি অফিস,ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ,যমুনা,মেঘনা তেলের ডিপোতে পাহারা বসিয়ে নৈরাজ্যের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। অপর দিকে, ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় হামলা, লুটপাট, ডাকাতি ঠেকাতে এলাকা ভিত্তিক পাহারা বসানো এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অব্যাহত রেখেছেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সারাদেশের ন্যায় ফতুল্লায় একটি কুচক্রী মহল নৈরাজ্য শুরু করেছে। আমরা ফতুল্লায় এসব হতে দিবো না। নৈরাজ্য ঠেকাতে এবং সংখ্যালঘু পরিবার এবং তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা পৃথক টিম করে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়েছি। দেশ স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।